এরফান হোছাইন:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের খাদেমেরপাড়ায় রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের ক্লুলেস হত্যায় কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত জিয়াউল হক ওরপে জিকু’কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫।

বুধবার (১৭ জুলাই) কক্সবাজারের রামু থানাধীন গর্জনীয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‍্যাব।

গত ০৭ জুলাই রবিবার সকাল ১০টার দিকে রামু থানার পুলিশ খাদেমেরপাড়া গ্রামের রেললাইনের পূর্বপাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আব্দুল্লাহ-আল-মামুন (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি রামু উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ঘাটপাড়া খুরুলিয়ার বাসিন্দা মৃত মোঃ নবী হোসেনের পুত্র।

জানা যায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৫। তাদের তদন্তে মামুনের এক বন্ধু মোঃ শাহেদ হোসেনকে সন্দেহের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আরও বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে।
শাহেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ গত সোমবার রামু উপজেলার গর্জনীয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামুন হত্যাকাণ্ডের কিলিং মিশনের একজন সদস্য জিয়াউল হক ওরফে জিকুকে (২৬) গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিকু স্বীকার করে যে, সে মামুন হত্যার কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়াও আরও ৬ জন হত্যাকারী উক্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। মামুন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাহেদ এর নিকট হতে অর্থের বিনিময়ে তারা সকলেই উক্ত কিলিং মিশিন চালিয়েছে বলে জিকু স্বীকার করে।

র‍্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তারকৃত জিকুকে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আশা করছে, জিকুর জিজ্ঞাসাবাদে মামুন হত্যাকাণ্ডের বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।