সারাদেশে কোটাবিরোধীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি আজ

  • Update Time : ০২:২০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • / 37

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের জেরে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে বাধ্য হয় সরকার। তবে ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবারও ফিরে আসে কোটা। এরপর আবার আন্দোলনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে তারা সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করবেন।

শনিবার (৬ জুলাই) শাহবাগ অবরোধ করে ছাত্রসমাজের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান।

কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগ মোড় ছাড়িয়ে সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেবেন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে স্থানীয় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেবেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা। আজ থেকে শুরুর ঘোষণা দেওয়া এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের আহবান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের পেনশন আন্দোলনের কারণে দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে আছে। ক্লাস ও পরীক্ষার পাশাপাশি সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সারাদেশে কোটাবিরোধীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি আজ

Update Time : ০২:২০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের জেরে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে বাধ্য হয় সরকার। তবে ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবারও ফিরে আসে কোটা। এরপর আবার আন্দোলনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে তারা সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করবেন।

শনিবার (৬ জুলাই) শাহবাগ অবরোধ করে ছাত্রসমাজের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান।

কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগ মোড় ছাড়িয়ে সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেবেন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে স্থানীয় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেবেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা। আজ থেকে শুরুর ঘোষণা দেওয়া এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের আহবান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের পেনশন আন্দোলনের কারণে দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে আছে। ক্লাস ও পরীক্ষার পাশাপাশি সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।