বেনজীরের ৭ পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক

  • Update Time : ০৬:২১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • / 40

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে কয়েকটি পাসপোর্টের নম্বর হলো— E0017616, AA1073252, BC0111070, BM0828141 ও 800002095। এছাড়া, তার আরও দুইটি পাসপোর্ট রয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৩
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ- বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি বলেও জানা গেছে।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, গত ২০ জুন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি। লিখিত বক্তব্যে তার অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

দুর্নীতি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবার ২৩ ও ২৪ জুন দুদকে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেন।

বিভিন্ন সূত্রে তথ্যানুসারে, বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন, এখনও দেশে ফেরেননি। অন্যদিকে, বেনজীরের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে গত ৬ জুন ও স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। তবে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি বা তারা দেশে নেই। যদিও দুদক থেকে তাদের বিদেশ যাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বেনজীরের ৭ পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক

Update Time : ০৬:২১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে কয়েকটি পাসপোর্টের নম্বর হলো— E0017616, AA1073252, BC0111070, BM0828141 ও 800002095। এছাড়া, তার আরও দুইটি পাসপোর্ট রয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৩
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ- বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি বলেও জানা গেছে।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, গত ২০ জুন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি। লিখিত বক্তব্যে তার অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

দুর্নীতি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবার ২৩ ও ২৪ জুন দুদকে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেন।

বিভিন্ন সূত্রে তথ্যানুসারে, বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন, এখনও দেশে ফেরেননি। অন্যদিকে, বেনজীরের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে গত ৬ জুন ও স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। তবে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি বা তারা দেশে নেই। যদিও দুদক থেকে তাদের বিদেশ যাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।