ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার
- Update Time : ০৯:১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / 53
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আজহারের টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের বরণে প্রস্তুত রয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। আগত পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এবার আবাসিক হোটেল—মোটেল—গেস্টহাউস গুলো বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,কক্সবাজারের প্রতিটি আবাসিক প্রতিষ্ঠানই ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আকর্ষণীয় ছাড়ের সুযোগ দিচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলে ঈদ উপলক্ষে আকর্ষণীয় কম্বো প্যাকেজের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৬০% পর্যন্ত ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া অনেক হোটেলেই বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থা থাকছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যে সমন্বয় করে আগত পযর্টকদের পর্যটন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
চুরি, ছিনতাইসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।
ইন্টারন্যাশনাল চেইনের কক্সবাজারে একমাত্র তারকামানের হোটেল রামাদার ফ্রন্ট ম্যানেজার শাহাদাত হোছাইন জানান, ইতোমধ্যে তাদের হোটেলে ৭০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। কোরবানির ঈদ ঘিরে বিভিন্ন কম্বো প্যাকেজের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হোটেল সায়মন বিচের রুম শতভাগ বুকিং হয়েছে জানিয়ে ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার সারোয়ার আলম বলেন, আমরা এই ঈদে গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিসকাউন্ট দিয়েছি। তা ছাড়া বুফে লাঞ্চ ও ডিনারেরও ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানান তিনি।
একাধিক পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ছুটি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আবাসিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে মাত্র ৩০—৫০% বুকিং হয়েছে। তারা আশাবাদী যে ঈদের আগে বুকিং আরও বাড়বে। গত রমজানের ঈদে ১০ দিন ভালো ব্যবসা হয়েছিল কক্সবাজারে।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল—মোটেল—গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, গত রমজানের ঈদে ১০ দিন ভালো ব্যবসা হয়েছিল। কিন্তু তার ক’দিন পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক খরা চলছে। এই অবস্থায় আমাদের অনেক বড় লোকসানে পড়তে হয়েছে। কোরবানির ঈদে পর্যটক আসবে এবং আমরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব— এমনটাই আশা করছি।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল—মোটেল—গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উপজেলা নির্বাচন ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বুকিং কম হতে পারে। তার পরও আমরা আশাবাদী শেষ মুহূর্তে পর্যটক সমাগম ঘটবে।
তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে অনেকগুলো হোটেলে ৭০% রুম বুকিং হয়েছে আর গত রমজানের ঈদের তুলনায় এবারে পর্যটকের উপস্থিতি কম হতে পারে। তারপরও ১৮ তারিখের পরে রুম বুকিং বাড়তে পারে বলে জানান তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “আমরা ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং পর্যটক’রা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।”
কক্সবাজার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ছাড়, জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নতুন কিছু আকর্ষণ নিয়ে প্রস্তুত।