ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের প্রস্তাবে মার্চে মেঘনা ট্রেন যাচ্ছে কক্সবাজারে

  • Update Time : ১২:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 74

চাঁদপুর-চট্টগ্রামে রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তনগর ট্রেন ১৯৮৫ সালে চালু হয়। তবে চালুর পর থেকে একই রেক (কোচ) দিয়ে ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। ট্রেন চলাচলে গড়ে উঠেছে আধুনিক ব্যবস্থা। যদিও এর কোনো সুবিধা পায়নি মেঘনা একপ্রেস ট্রেন। অথচ এটি অন্যতম একটি লাভজনক রূট।

এসব বিষয়কে সামনে রেখে মেঘনা একপ্রেস ট্রেনকে আধুনিকায়ন ও ট্রেনের গন্তব্যস্থল চট্টগাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য দাবি জানায় ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। এর অংশ হিসেবে ফোরামের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রেলপথ বিভাগের মন্ত্রীর কাছে আবেদন‌ও করা হয়।ফোরামের আবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন রেলমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন।

বুধবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) রেলের পরিচালক (ট্রাফিক কন্ট্রোল) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ফোরামের আবেদন রেলপথমন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। মেঘনা ট্রেনের পুরোনো র‍্যাক পরিবর্তন করে অবমুক্ত হওয়া অন্য রেক সংযোজন করা হবে চলতি মাসেই। মার্চের মধ্যেই মেঘনা ট্রেনের কক্সবাজার পর্যন্ত রুট বর্ধিত করা হবে। এছাড়া চাঁদপুর-চট্রগ্রাম রুটের যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একজোড়া আন্তঃ নগর ট্রেন দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচেনা করা হবে।

পরিচালক জানান, মন্ত্রণলায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ফোরামের চিঠির কপিসহ পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকে অবহিত করা হবে। এরপর দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বিষয়ে ফোরামের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম চাঁদপুরবাসী এবং চাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেঘনা ট্রেনের বিষয়টিও তেমনই একটি উদ্যোগ। রেল পথে চাঁদপুরের মানুষের দূর্দশা লাঘবে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরকে একটি পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফোরামের পক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছে। প্রপ্তাব রাখা হয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুরের পৌর মেয়রের কাছেও।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং স্বদেশ বাংলার সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফোরাম এ পর্যন্ত অনেকগুলো জনবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় সবগুলো উদ্যোগই সফল হয়েছে। যে দু-একটি বিষয় বাকি আছে, তাও বাস্তবায়ন হবে বলে আশা রাখি।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলার নানা সমস্যা সমাধানে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম কাজ করছে। বিশেষ করে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা, ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কারে সহায়তা, স্কুল নির্মানে সহায়তা, বৃক্ষ রোপন প্রভৃতি। ফোরামের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সেতুর টোল প্রত্যাহারের জন্য‌ও আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ফোরাম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের প্রস্তাবে মার্চে মেঘনা ট্রেন যাচ্ছে কক্সবাজারে

Update Time : ১২:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাঁদপুর-চট্টগ্রামে রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তনগর ট্রেন ১৯৮৫ সালে চালু হয়। তবে চালুর পর থেকে একই রেক (কোচ) দিয়ে ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। ট্রেন চলাচলে গড়ে উঠেছে আধুনিক ব্যবস্থা। যদিও এর কোনো সুবিধা পায়নি মেঘনা একপ্রেস ট্রেন। অথচ এটি অন্যতম একটি লাভজনক রূট।

এসব বিষয়কে সামনে রেখে মেঘনা একপ্রেস ট্রেনকে আধুনিকায়ন ও ট্রেনের গন্তব্যস্থল চট্টগাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য দাবি জানায় ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। এর অংশ হিসেবে ফোরামের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রেলপথ বিভাগের মন্ত্রীর কাছে আবেদন‌ও করা হয়।ফোরামের আবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন রেলমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন।

বুধবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) রেলের পরিচালক (ট্রাফিক কন্ট্রোল) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ফোরামের আবেদন রেলপথমন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। মেঘনা ট্রেনের পুরোনো র‍্যাক পরিবর্তন করে অবমুক্ত হওয়া অন্য রেক সংযোজন করা হবে চলতি মাসেই। মার্চের মধ্যেই মেঘনা ট্রেনের কক্সবাজার পর্যন্ত রুট বর্ধিত করা হবে। এছাড়া চাঁদপুর-চট্রগ্রাম রুটের যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একজোড়া আন্তঃ নগর ট্রেন দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচেনা করা হবে।

পরিচালক জানান, মন্ত্রণলায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ফোরামের চিঠির কপিসহ পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকে অবহিত করা হবে। এরপর দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বিষয়ে ফোরামের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম চাঁদপুরবাসী এবং চাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেঘনা ট্রেনের বিষয়টিও তেমনই একটি উদ্যোগ। রেল পথে চাঁদপুরের মানুষের দূর্দশা লাঘবে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরকে একটি পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফোরামের পক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছে। প্রপ্তাব রাখা হয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুরের পৌর মেয়রের কাছেও।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং স্বদেশ বাংলার সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফোরাম এ পর্যন্ত অনেকগুলো জনবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় সবগুলো উদ্যোগই সফল হয়েছে। যে দু-একটি বিষয় বাকি আছে, তাও বাস্তবায়ন হবে বলে আশা রাখি।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলার নানা সমস্যা সমাধানে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম কাজ করছে। বিশেষ করে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা, ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কারে সহায়তা, স্কুল নির্মানে সহায়তা, বৃক্ষ রোপন প্রভৃতি। ফোরামের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সেতুর টোল প্রত্যাহারের জন্য‌ও আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ফোরাম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।