কুবিতে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এসোসিয়েশনের উদ্যেগে পিঠা উৎসব

  • Update Time : ০১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 81

সাঈদ হাসান, কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী সংগঠন ‘পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের’ কর্তৃক আয়োজিত ‘কুয়াশা উৎসব-১৪৩০’ এ হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিতে প্রতিটি স্টলে ভিড় জমিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন কাঁঠালতলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন এ উৎসব উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ।

উৎসবে ১৩ টি স্টলে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরির হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে হাজির হয়েছেন। পিঠাপুলির মধ্যে রয়েছে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, রসগোল্লা, জামাই পিঠা, বউ পিঠা, ডিমের পিঠা, নারকেল পিঠা, সেমাই বরফি, সুইচ রোল, পাতাবাহার, কসমা পিঠা, ডোবা, মাছ সুন্দরী পিঠা, নুডুলস, চকোলেট কেক, পাকুন পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাফটা পিঠা, খেজুরের রসসহ হরেক রকমের পিঠা। পিঠাপুলির পাশাপাশি সাজসজ্জার সামগ্রী ও বুক স্টলও ছিল। এসময় অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার। দিনব্যাপী উৎসবে ভিন্নধর্মী ও বাহারি পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, পিঠা বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ব্যতিক্রম পিঠা উৎসব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুবিতে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এসোসিয়েশনের উদ্যেগে পিঠা উৎসব

Update Time : ০১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

সাঈদ হাসান, কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী সংগঠন ‘পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের’ কর্তৃক আয়োজিত ‘কুয়াশা উৎসব-১৪৩০’ এ হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিতে প্রতিটি স্টলে ভিড় জমিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন কাঁঠালতলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন এ উৎসব উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ।

উৎসবে ১৩ টি স্টলে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরির হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে হাজির হয়েছেন। পিঠাপুলির মধ্যে রয়েছে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, রসগোল্লা, জামাই পিঠা, বউ পিঠা, ডিমের পিঠা, নারকেল পিঠা, সেমাই বরফি, সুইচ রোল, পাতাবাহার, কসমা পিঠা, ডোবা, মাছ সুন্দরী পিঠা, নুডুলস, চকোলেট কেক, পাকুন পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাফটা পিঠা, খেজুরের রসসহ হরেক রকমের পিঠা। পিঠাপুলির পাশাপাশি সাজসজ্জার সামগ্রী ও বুক স্টলও ছিল। এসময় অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার। দিনব্যাপী উৎসবে ভিন্নধর্মী ও বাহারি পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, পিঠা বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ব্যতিক্রম পিঠা উৎসব।