খুলনায় ধর্ষণের শিকার নারীকে হাসপাতাল থেকে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণ

  • Update Time : ০৭:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 71

খুলনা প্রতিনিধি

ধর্ষণের শিকার এক নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে ওই নারীর স্বজন ও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ফিম্পিস্টাইলে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহম্মেদকে আটকে রাখে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটক গাজী তৌহিদ আহমেদ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই।

এর আগে শনিবার রাতে খুলনার তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেক দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। শনিবার রাত সোয়া ১১টায় ওই নারী নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন।

তরুণির ভাই অভিযোগ করে বলেন, ওই চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইল করে তার বোনকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখে অনেকদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছেন চেয়ারম্যান। শনিবার তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। তিনি থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী এসএ টিভির ক্যামেরাম্যান বলেন, আমরা ছবি সংগ্রহের জন্য এসেছি তখন আমাদের সামনেই কিছু লোক হুরোহোরি করে মেয়েকে গাড়িতে তোলে তখন রুদাঘরা ইউ‌নিয়ন চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহম্মেদ সেই গাড়ির দরজা ফিল্মিস্টাইলে বন্ধকরে দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে আমার ক্যামেরা টানাটানি করেন এবং যমুনা টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রধান প্রবীর বিশ্বাসকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


খুলনায় ধর্ষণের শিকার নারীকে হাসপাতাল থেকে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণ

Update Time : ০৭:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

খুলনা প্রতিনিধি

ধর্ষণের শিকার এক নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে ওই নারীর স্বজন ও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ফিম্পিস্টাইলে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহম্মেদকে আটকে রাখে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটক গাজী তৌহিদ আহমেদ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই।

এর আগে শনিবার রাতে খুলনার তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেক দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। শনিবার রাত সোয়া ১১টায় ওই নারী নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন।

তরুণির ভাই অভিযোগ করে বলেন, ওই চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইল করে তার বোনকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখে অনেকদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছেন চেয়ারম্যান। শনিবার তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। তিনি থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী এসএ টিভির ক্যামেরাম্যান বলেন, আমরা ছবি সংগ্রহের জন্য এসেছি তখন আমাদের সামনেই কিছু লোক হুরোহোরি করে মেয়েকে গাড়িতে তোলে তখন রুদাঘরা ইউ‌নিয়ন চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহম্মেদ সেই গাড়ির দরজা ফিল্মিস্টাইলে বন্ধকরে দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে আমার ক্যামেরা টানাটানি করেন এবং যমুনা টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রধান প্রবীর বিশ্বাসকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।