বিয়ে সন্ধ্যায়, বিকেলে ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল সাদিয়ার

  • Update Time : ০১:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 95

সাততলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল তরুণীর। এখন এ মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা।

সাদিয়ার বিয়ে ছিল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি)। নিহত সাদিয়া ঢাকার দোহার থানার আব্দুল বাশার বাচ্চুর মেয়ে। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা সপরিবারে টঙ্গী বাজার এলাকায় সাইদ মাদবরের বাড়ির ষষ্ঠ তলায় ভাড়া থাকতেন।

নিহতের ছোট বোন বলেন,  বিকেলে আপুর সঙ্গে আমিও ছাদে ছিলাম। আপু রেলিং বসে চুল শুকাচ্ছিল। আমি আপুকে সতর্ক করে বাসায় চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর আপুর মৃত্যুর খবর পাই।

জানা যায়, নিহত সাদিয়া বিকেলে বাড়িওয়ালার বাসা থেকে চাবি নিয়ে ছাদে উঠে বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তার গায়ে হলুদ হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বিয়ের কথা ছিল।

তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, সাদিয়ার সঙ্গে এক ছেলের সম্পর্ক ছিল। বাবা-মা তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল।

নিহতের মা তাহমিনা বেগম বলেন, আমরা যে ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছি তাকে সাদিয়ার পছন্দ ছিল। আমরা মেয়ের বিয়ে নিয়ে কোনো জোর জবরদস্তি করিনি।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিয়ে সন্ধ্যায়, বিকেলে ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল সাদিয়ার

Update Time : ০১:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

সাততলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল তরুণীর। এখন এ মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা।

সাদিয়ার বিয়ে ছিল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি)। নিহত সাদিয়া ঢাকার দোহার থানার আব্দুল বাশার বাচ্চুর মেয়ে। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা সপরিবারে টঙ্গী বাজার এলাকায় সাইদ মাদবরের বাড়ির ষষ্ঠ তলায় ভাড়া থাকতেন।

নিহতের ছোট বোন বলেন,  বিকেলে আপুর সঙ্গে আমিও ছাদে ছিলাম। আপু রেলিং বসে চুল শুকাচ্ছিল। আমি আপুকে সতর্ক করে বাসায় চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর আপুর মৃত্যুর খবর পাই।

জানা যায়, নিহত সাদিয়া বিকেলে বাড়িওয়ালার বাসা থেকে চাবি নিয়ে ছাদে উঠে বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তার গায়ে হলুদ হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বিয়ের কথা ছিল।

তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, সাদিয়ার সঙ্গে এক ছেলের সম্পর্ক ছিল। বাবা-মা তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল।

নিহতের মা তাহমিনা বেগম বলেন, আমরা যে ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছি তাকে সাদিয়ার পছন্দ ছিল। আমরা মেয়ের বিয়ে নিয়ে কোনো জোর জবরদস্তি করিনি।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।