রাণীশংকৈলে ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের জনজীবন বিপর্যস্ত

  • Update Time : ০৩:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 88

হুমায়ুন কবির রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)
প্রতিনিধিঃ

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত।
ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিম হাওয়ার ছোবলে স্বাভাবিক চলাফেরায় বেশ দায় হয়ে পড়েছে। রোববার ১৪ জানুয়ারি রাণীশংকৈল পৌর শহরসহ সমগ্র উপজেলায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
তাপ মাত্রা নেমে এসেছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।
তার পরও দিনের একটা বড় অংশ ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। এমন অবস্থা বিরাজ করায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এরকম বৈরি আবহাওয়ায় দিনে আনে দিনে খাওয়া মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে কাজের সন্ধানে বের হতে পারেনা। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন। একই সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অসহায় হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষেরা। বিভিন্ন শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় সমস্ত রাস্তা- ঘাট। পরদিন বিকাল পর্যন্ত এমনি অবস্থা বিরাজ করে। এর ফলে চলাচলে অসুবিধায় ভোগে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। রাস্তায় চলাচল করতে গেলে গাড়ির আলো থাকা সত্বেও ১০ হাত সামনে কিছুই দেখা যায় না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই শীত ও ঘন কুয়াশার কবল থেকে রেহাই পাইনি ধানের বীজতলা, বিভিন্ন জাতের রবি শস্য ও সবজির ক্ষেত। এমন আবহাওয়া আরো
কয়েকদিন চলমান থাকলে চরম ভোগান্তির মোকাবেলা করে টিকে থাকতে প্রচন্ড বেকায়দায় পড়তে হবে উপজেলা বাসীকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীশংকৈলে ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের জনজীবন বিপর্যস্ত

Update Time : ০৩:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

হুমায়ুন কবির রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)
প্রতিনিধিঃ

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত।
ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিম হাওয়ার ছোবলে স্বাভাবিক চলাফেরায় বেশ দায় হয়ে পড়েছে। রোববার ১৪ জানুয়ারি রাণীশংকৈল পৌর শহরসহ সমগ্র উপজেলায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
তাপ মাত্রা নেমে এসেছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।
তার পরও দিনের একটা বড় অংশ ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। এমন অবস্থা বিরাজ করায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এরকম বৈরি আবহাওয়ায় দিনে আনে দিনে খাওয়া মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে কাজের সন্ধানে বের হতে পারেনা। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন। একই সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অসহায় হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষেরা। বিভিন্ন শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় সমস্ত রাস্তা- ঘাট। পরদিন বিকাল পর্যন্ত এমনি অবস্থা বিরাজ করে। এর ফলে চলাচলে অসুবিধায় ভোগে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। রাস্তায় চলাচল করতে গেলে গাড়ির আলো থাকা সত্বেও ১০ হাত সামনে কিছুই দেখা যায় না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই শীত ও ঘন কুয়াশার কবল থেকে রেহাই পাইনি ধানের বীজতলা, বিভিন্ন জাতের রবি শস্য ও সবজির ক্ষেত। এমন আবহাওয়া আরো
কয়েকদিন চলমান থাকলে চরম ভোগান্তির মোকাবেলা করে টিকে থাকতে প্রচন্ড বেকায়দায় পড়তে হবে উপজেলা বাসীকে।