ঢাবিতে মশাল মিছিল : নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবি

  • Update Time : ১২:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 68

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে ‘স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত, কাটাবন, শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের – একতরফা নির্বাচন জনগণ মানে না, ডামি নির্বাচন জনগণ মানে না; শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়; ওয়ান টু থ্রি ফোর, শেখ হাসিনা ভোটচোর; আমাদের ধমনীতে, লাখ শহীদের রক্ত; এই রক্ত কোনোদিন, বৃথা যেতে যেতে দেবো না; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবেই; বাঁশের লাঠি মশাল হবে, হাসিনার পতন হবে; আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব; আন্দোলনের লড়াকু জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, এমন নজিরবিহীন অকেজো নির্বাচন বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি। এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং আরও ৫ বছর থাকার পরিকল্পনা করেছে। এই সরকার ভুয়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করে মানুষের ট্যাক্সের টাকার সাধারণ মানুষকে একটি ডামি নির্বাচন দেখাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সবাইকে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি কার্জনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে জালভোট মারা হয়েছে। কিভাবে এই সরকারের অনুগতরা সারাদেশে এককভাবে নির্বাচন করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতে জাল ভোট দিয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ দেশের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। এই সরকার এককভাবে নির্বাচন করে নিজেরাই জয়লাভ করেছে। ভোটের পরে তারা বলছে ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটের পরিমাণ ছিল অনেক কম। আমরা চাইব এই সরকার যেন ভেঙে দেওয়া হয় এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তুলব।

উক্ত মশাল মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাগীব নাঈম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, ছাত্র মৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল সহ জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে মশাল মিছিল : নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবি

Update Time : ১২:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে ‘স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত, কাটাবন, শাহবাগ হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় নেতাকর্মীদের – একতরফা নির্বাচন জনগণ মানে না, ডামি নির্বাচন জনগণ মানে না; শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়; ওয়ান টু থ্রি ফোর, শেখ হাসিনা ভোটচোর; আমাদের ধমনীতে, লাখ শহীদের রক্ত; এই রক্ত কোনোদিন, বৃথা যেতে যেতে দেবো না; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবেই; বাঁশের লাঠি মশাল হবে, হাসিনার পতন হবে; আমরা আছি থাকব, যুগে যুগে লড়ব; আন্দোলনের লড়াকু জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, এমন নজিরবিহীন অকেজো নির্বাচন বাংলাদেশ আগে কখনো দেখেনি। এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং আরও ৫ বছর থাকার পরিকল্পনা করেছে। এই সরকার ভুয়া নির্বাচন কমিশন তৈরি করে মানুষের ট্যাক্সের টাকার সাধারণ মানুষকে একটি ডামি নির্বাচন দেখাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সবাইকে আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৭ জানুয়ারি কার্জনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে জালভোট মারা হয়েছে। কিভাবে এই সরকারের অনুগতরা সারাদেশে এককভাবে নির্বাচন করে ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতে জাল ভোট দিয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগের দিনগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ দেশের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। এই সরকার এককভাবে নির্বাচন করে নিজেরাই জয়লাভ করেছে। ভোটের পরে তারা বলছে ভোটের হার ছিলো ৪০ শতাংশ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটের পরিমাণ ছিল অনেক কম। আমরা চাইব এই সরকার যেন ভেঙে দেওয়া হয় এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন গড়ে তুলব।

উক্ত মশাল মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাগীব নাঈম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, ছাত্র মৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল সহ জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।