বাগেরহাটে জামানত হারিয়েছেন ২১ প্রার্থী

  • Update Time : ১০:২১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 86

বাগেরহাটের ৪টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২১ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন দলের ১৯ প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, কোন প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশের থেকে একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এর নিচে পেলে তিনি জামানত হারাবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট) আসনে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮২১টি ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৩টি ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৯ ভোট। এছাড়া তার ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী জামানত হারিয়েছেন।

এরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের এইচ এম আতাউর রহমান আতিকী ১১৭৫ ভোট, এনপিপি’র বাসুদেব গুহ ২০৬৫, জাতীয় পার্টির মোঃ কামরুজ্জামান ৫২১০, বিএনএম’র মোঃ মঞ্জুর হোসেন শিকদার ২৭৯৬ এবং তৃনমূল বিএনপির মোঃ মাহফুজুর রহমান ১৭৮৫ ভোট।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ৩ লাখ ২০ হাজার ১৪১ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭২টি ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে বিজয়ী প্রার্থী শেখ তন্ময় পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন সতন্ত্র প্রার্থী এসএম আজমল হোসেন ১৪৫৫ ভোট, জাকের পার্টির খান আরিফুর রহমান ৩১৬৩, তৃণমূল বিএনপির মরিয়ম সুলতানা ২৭৬২, বিএনএম’র সোলায়মান শিকদার ১৯০৭ এবং জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪১৭৪ ভোট।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে বিজয়ী প্রার্থী নৌকার হাবিবুন নাহার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের জামানত রক্ষা হয়েছে। বিভিন্ন দলের অন্য ৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোটের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৩০ ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে বিজয়ী প্রার্থী হাবিবুন নাহার পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৭২, স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৬৮ ভোট। জামানত হারানোরা হলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মফিজুল ইসলাম গাজী ২০৮, তৃণমূল বিএনপি ২২৮, জাতীয় পার্টির মোঃ মনিরুজ্জামান মনি ৬৭০, বিএনএম’র ৪২৩ এবং জাসদের শেখ নুরুজ্জামান মাসুম ৩৩৮ ভোট।

অন্যদিকে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনেও ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৪ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৭ ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে বিজয়ী প্রার্থী নৌকার এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ পেয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ৯৯২, এনপিপি’র মোহাম্মদ লোকমান ১৬১১, বিএনএম’র মোঃ রেজাউল ইসলাম রাজু ৬৩৬, তৃনমূল বিএনপির লুৎফুন নাহার রিক্তা ৬০৭, জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী ২২২০ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর জামিল হোসেন পেয়েছেন ৫৩৭৬ ভোট।

এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর জামিল হোসেন নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোট বয়কট করেছিলেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাঃ খালিদ হোসেন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৪টি আসনের মধ্যে ২১ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তারা সবাই কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাগেরহাটে জামানত হারিয়েছেন ২১ প্রার্থী

Update Time : ১০:২১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

বাগেরহাটের ৪টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২১ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন দলের ১৯ প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, কোন প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশের থেকে একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এর নিচে পেলে তিনি জামানত হারাবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট) আসনে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮২১টি ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৩টি ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৯ ভোট। এছাড়া তার ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী জামানত হারিয়েছেন।

এরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের এইচ এম আতাউর রহমান আতিকী ১১৭৫ ভোট, এনপিপি’র বাসুদেব গুহ ২০৬৫, জাতীয় পার্টির মোঃ কামরুজ্জামান ৫২১০, বিএনএম’র মোঃ মঞ্জুর হোসেন শিকদার ২৭৯৬ এবং তৃনমূল বিএনপির মোঃ মাহফুজুর রহমান ১৭৮৫ ভোট।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ৩ লাখ ২০ হাজার ১৪১ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭২টি ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে বিজয়ী প্রার্থী শেখ তন্ময় পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন সতন্ত্র প্রার্থী এসএম আজমল হোসেন ১৪৫৫ ভোট, জাকের পার্টির খান আরিফুর রহমান ৩১৬৩, তৃণমূল বিএনপির মরিয়ম সুলতানা ২৭৬২, বিএনএম’র সোলায়মান শিকদার ১৯০৭ এবং জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪১৭৪ ভোট।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে বিজয়ী প্রার্থী নৌকার হাবিবুন নাহার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের জামানত রক্ষা হয়েছে। বিভিন্ন দলের অন্য ৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোটের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৩০ ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে বিজয়ী প্রার্থী হাবিবুন নাহার পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৭২, স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৬৮ ভোট। জামানত হারানোরা হলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মফিজুল ইসলাম গাজী ২০৮, তৃণমূল বিএনপি ২২৮, জাতীয় পার্টির মোঃ মনিরুজ্জামান মনি ৬৭০, বিএনএম’র ৪২৩ এবং জাসদের শেখ নুরুজ্জামান মাসুম ৩৩৮ ভোট।

অন্যদিকে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনেও ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৪ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৭ ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে বিজয়ী প্রার্থী নৌকার এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ পেয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ৯৯২, এনপিপি’র মোহাম্মদ লোকমান ১৬১১, বিএনএম’র মোঃ রেজাউল ইসলাম রাজু ৬৩৬, তৃনমূল বিএনপির লুৎফুন নাহার রিক্তা ৬০৭, জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী ২২২০ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর জামিল হোসেন পেয়েছেন ৫৩৭৬ ভোট।

এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর জামিল হোসেন নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোট বয়কট করেছিলেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাঃ খালিদ হোসেন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৪টি আসনের মধ্যে ২১ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তারা সবাই কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।