আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৌকার প্রার্থীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • Update Time : ১১:০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 143

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইসহ তার দুই অনুসারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। অপর দুইজন হলেন— শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন।

জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের আদেশে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। যার মামলা নং-৬৫০ ও ৬৫১।

মামলায় বলা হয়েছিল, শৈলকুপা থানাধীন ১৪নং দুধসর ইউনিয়নের ভাটই বাজারে সাপ্তাহিক হাটবারের দিনে বিকাল অনুমানিক ৪টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনাব আব্দুল হাই এর অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মহাসড়কে মহড়া দেয় ও জনগণের মনে ভীতি সঞ্চার করে। ফলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে মো. আব্দুল হাই ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও বিধি ১২ এর লঙ্ঘন করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম।

পরে গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে মামলা দুইটির সমন জারি হয়। সেখানে তাদেরকে বুধবার সশরীরে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। তবে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্তও তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি রোয়ানা জারি করেন আদালত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৌকার প্রার্থীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

Update Time : ১১:০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইসহ তার দুই অনুসারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। অপর দুইজন হলেন— শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন।

জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের আদেশে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। যার মামলা নং-৬৫০ ও ৬৫১।

মামলায় বলা হয়েছিল, শৈলকুপা থানাধীন ১৪নং দুধসর ইউনিয়নের ভাটই বাজারে সাপ্তাহিক হাটবারের দিনে বিকাল অনুমানিক ৪টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনাব আব্দুল হাই এর অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মহাসড়কে মহড়া দেয় ও জনগণের মনে ভীতি সঞ্চার করে। ফলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে মো. আব্দুল হাই ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও বিধি ১২ এর লঙ্ঘন করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম।

পরে গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে মামলা দুইটির সমন জারি হয়। সেখানে তাদেরকে বুধবার সশরীরে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। তবে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্তও তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি রোয়ানা জারি করেন আদালত।