কুমিল্লায় শফিউদ্দিন শামীমের নির্বাচনী প্রচারণায় চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী ও ফিরোজ চৌধুরী

  • Update Time : ১২:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 77

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে যোগ দেন এই আসনের নৌকার কান্ডারী এ. জেড. এম. শফিউদ্দিন শামীম।

সকালে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভবানীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জনাব আবু তাহের ভুঁইয়ার নামাজে জানাযায় অংশ গ্রহণ শেষে দরগানামা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এর পর তিনি পর্যায়ক্রমে উ: লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, নরিন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এগারগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উঠান বৈঠক করেন। উঠান বৈঠকের ফাঁকে ফাঁকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ভোটারদেরকে ভোট দানে উৎসাহিত করে ৭ জানুয়ারী ভোট কেন্দ্রে এসে নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করার আহবান জানান।

গ্রামের আনাচে কানাচে, মেঠোপথে, ক্ষেত-খামারে, পাড়ার চায়ের দোকানে মাইলের পর মাইল হেঁটে তিনি নৌকা প্রতীকে নিজের জন্য জনগণের কাছে দোয়া এবং ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী (লিটন) এবং নিক্সন চৌধুরীর ভাই ফিরোজ চৌধুরী ওরফে লিখন চৌধুরী তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও ভবানীপুর ইউনিয়নের নেতা-কর্মী ও দলের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত গণসংযোগে তাঁর সাথে অংশ নেন।

উঠান বৈঠকে তাঁর বক্তৃতায় তিনি বলেন উন্নয়ন ও গনতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি প্রগতি ও প্রযুক্তিপ্রেমী একজন মানুষ। প্রযুক্তি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ কে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে যে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন আমি তাঁর এই উদ্যোগকে সফল করতে কাজ করে যাবো। আমাদের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাবসা এবং শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। গত ১৫ বছরে সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে পাল্টে গেছে দেশের অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। যার সুফল ভোগ করছে দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল জনগণ। দেশের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনসাধারণকে তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

উল্লেখ্য শফিউদ্দিন শামীম কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা ৮ এর প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা এবং সমাজ সেবক। মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এস কিউ ফাউন্ডেশনের মত মানবিক প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে তিনি অনেক বছর ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য দূরীকরণ সহ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিজয় নিশ্চিত জেনে যেখানে বড় দলের প্রার্থীরা অনেক আসনেই প্রচারণায় নিষ্ক্রিয়, ব্যাতিক্রম শুধু কুমিল্লা ৮, বরুড়া আসনে নৌকার প্রার্থী শফিউদ্দিন শামীম। যিনি ভোট কে উৎসবে পরিনত করে জনগণকে কেন্দ্রমুখি করতে প্রতিদিন মাইলের পর মাইল গ্রামের মেঠোপথ হেঁটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। ভোট যে রাজনৈতিক ও গনতান্ত্রিক উৎসব হতে পারে তা বোঝা যায় এই সংসদীয় এলাকায় আসলে। নেতা কর্মীরা প্রতিটি এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে নানা জল্পনা কল্পনা। বাজারে বাজারে লোকজনকে কেন্দ্রমুখী করার জন্য বাউল ও পালা গানের মূর্ছনায় এ এক প্রানবন্ত বরুড়া।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লায় শফিউদ্দিন শামীমের নির্বাচনী প্রচারণায় চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী ও ফিরোজ চৌধুরী

Update Time : ১২:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে যোগ দেন এই আসনের নৌকার কান্ডারী এ. জেড. এম. শফিউদ্দিন শামীম।

সকালে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভবানীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জনাব আবু তাহের ভুঁইয়ার নামাজে জানাযায় অংশ গ্রহণ শেষে দরগানামা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এর পর তিনি পর্যায়ক্রমে উ: লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, নরিন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এগারগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উঠান বৈঠক করেন। উঠান বৈঠকের ফাঁকে ফাঁকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ভোটারদেরকে ভোট দানে উৎসাহিত করে ৭ জানুয়ারী ভোট কেন্দ্রে এসে নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করার আহবান জানান।

গ্রামের আনাচে কানাচে, মেঠোপথে, ক্ষেত-খামারে, পাড়ার চায়ের দোকানে মাইলের পর মাইল হেঁটে তিনি নৌকা প্রতীকে নিজের জন্য জনগণের কাছে দোয়া এবং ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী (লিটন) এবং নিক্সন চৌধুরীর ভাই ফিরোজ চৌধুরী ওরফে লিখন চৌধুরী তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও ভবানীপুর ইউনিয়নের নেতা-কর্মী ও দলের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত গণসংযোগে তাঁর সাথে অংশ নেন।

উঠান বৈঠকে তাঁর বক্তৃতায় তিনি বলেন উন্নয়ন ও গনতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি প্রগতি ও প্রযুক্তিপ্রেমী একজন মানুষ। প্রযুক্তি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ কে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে যে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন আমি তাঁর এই উদ্যোগকে সফল করতে কাজ করে যাবো। আমাদের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাবসা এবং শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। গত ১৫ বছরে সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে পাল্টে গেছে দেশের অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। যার সুফল ভোগ করছে দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল জনগণ। দেশের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনসাধারণকে তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

উল্লেখ্য শফিউদ্দিন শামীম কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা ৮ এর প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা এবং সমাজ সেবক। মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এস কিউ ফাউন্ডেশনের মত মানবিক প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে তিনি অনেক বছর ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য দূরীকরণ সহ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিজয় নিশ্চিত জেনে যেখানে বড় দলের প্রার্থীরা অনেক আসনেই প্রচারণায় নিষ্ক্রিয়, ব্যাতিক্রম শুধু কুমিল্লা ৮, বরুড়া আসনে নৌকার প্রার্থী শফিউদ্দিন শামীম। যিনি ভোট কে উৎসবে পরিনত করে জনগণকে কেন্দ্রমুখি করতে প্রতিদিন মাইলের পর মাইল গ্রামের মেঠোপথ হেঁটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। ভোট যে রাজনৈতিক ও গনতান্ত্রিক উৎসব হতে পারে তা বোঝা যায় এই সংসদীয় এলাকায় আসলে। নেতা কর্মীরা প্রতিটি এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে নানা জল্পনা কল্পনা। বাজারে বাজারে লোকজনকে কেন্দ্রমুখী করার জন্য বাউল ও পালা গানের মূর্ছনায় এ এক প্রানবন্ত বরুড়া।