আমি সবসময় বাংলাদেশকে ভয় পেতাম: স্যান্টনার

  • Update Time : ০৮:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 105

স্পোর্টস ডেস্ক

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। যদিও চোটের কারণে বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে তিনি। চোটের কারণে ইবাদত হোসেনও বিশ্বকাপ থেকেই দলে নেই। এদিকে গত এক দশকে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রায় সব সিরিজেই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ঘরের মাঠে দুই দলই নিজের শক্তির জানান দিয়েছে। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে।

ওয়ানডে শেষে এবার দুই দল টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামতে চলেছে। সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে নিজেদের ভীতির কথা অস্বীকার করেননি কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। সিরিজ শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বাংলাদেশকে ভয় পেতাম। আমরা জানি তারা কতটা ভয়ঙ্কর। ওয়ানডে সিরিজটা ক্লোজ ছিল। তাদের পেসাররা অনেক দূর এগিয়েছে। অবশ্যই তাসকিন এখানে নেই কিন্তু বাকি তিন-চার জন তারা তাদের ক্লাস দেখিয়েছে। উইকেট যদি পেস বান্ধব হয় তাহলে তারা আমাদের জন্য কঠিন হবে।’

প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল কিউইরা। তবে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্যান্টনারের ভাষ্য, ‘ওয়ানডে সিরিজে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচেই ভালো খেলেছে বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচে তারা দারুণ করেছে। পিচে কিছুটা সহায়তা ছিল হয়ত তবে তারা অনেক ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। জয়টাও তাদের প্রাপ্য ছিল। আশা করছি এই সিরিজেও বেশ ভালো রকমের লড়াই হবে।’

সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশের লড়াকু মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্যান্টনার। তার বিশ্বাস বাংলাদেশ শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। দলে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার না থাকলেও মানের দিক থেকে কোনো কমতি দেখছেন না তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আমি সবসময় বাংলাদেশকে ভয় পেতাম: স্যান্টনার

Update Time : ০৮:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। যদিও চোটের কারণে বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে তিনি। চোটের কারণে ইবাদত হোসেনও বিশ্বকাপ থেকেই দলে নেই। এদিকে গত এক দশকে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রায় সব সিরিজেই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ঘরের মাঠে দুই দলই নিজের শক্তির জানান দিয়েছে। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে।

ওয়ানডে শেষে এবার দুই দল টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামতে চলেছে। সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে নিজেদের ভীতির কথা অস্বীকার করেননি কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। সিরিজ শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বাংলাদেশকে ভয় পেতাম। আমরা জানি তারা কতটা ভয়ঙ্কর। ওয়ানডে সিরিজটা ক্লোজ ছিল। তাদের পেসাররা অনেক দূর এগিয়েছে। অবশ্যই তাসকিন এখানে নেই কিন্তু বাকি তিন-চার জন তারা তাদের ক্লাস দেখিয়েছে। উইকেট যদি পেস বান্ধব হয় তাহলে তারা আমাদের জন্য কঠিন হবে।’

প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল কিউইরা। তবে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্যান্টনারের ভাষ্য, ‘ওয়ানডে সিরিজে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচেই ভালো খেলেছে বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচে তারা দারুণ করেছে। পিচে কিছুটা সহায়তা ছিল হয়ত তবে তারা অনেক ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। জয়টাও তাদের প্রাপ্য ছিল। আশা করছি এই সিরিজেও বেশ ভালো রকমের লড়াই হবে।’

সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশের লড়াকু মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্যান্টনার। তার বিশ্বাস বাংলাদেশ শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। দলে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার না থাকলেও মানের দিক থেকে কোনো কমতি দেখছেন না তিনি।