ইতিহাস গড়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- Update Time : ০৭:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / 107
স্পোর্টস ডেস্ক
অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপে প্রথম শিরোপার লড়াইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে শত রানের নিচে গুড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হল বাংলাদেশের যুবারা। জুনিয়র টাইগারদের দেয়া ২৮২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪.৫ ওভারে ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় আমিরাতের ইনিংস। ফলে ১৯৫ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে ফাইনালের লড়াইয়ে টস জিতে টাইগার যুবাদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান আমিরাতের অধিনায়ক আফজাল খান।
দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগার যুবাদের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক আরব আমিরাত। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আরিয়ানস শর্মা ও আকসাত রয়। শুরুতেই এ জুটিতে আঘাত হানেন মারুফ মৃধা। এতে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন আকসাত।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আমিরাত। এদিন স্বাগতিকদের ৯ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তানিশ সুরি (৪), ইথান ডি’সুজা (৪), আয়ান আফজাল (৫), ইয়াহিন রয় (৬) ও আম্মার বাদামির (০) মতো ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
টাইগার বোলারদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান ধ্রুব প্রশার। তবে তার অপরাজিত ২৫ রানটি স্রেফ হারের ব্যবধান কমিয়েছে আমিরাত।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা ও রণৌত উল্লাহ বর্ষণ।
এর আগে টস জিতে টাইগার যুবাদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আমিরাত অধিনায়ক আফজাল খান। এদিন ৭ রানের বেশি করতে পারেননি ওপেনার জিসান আলম। শুরুতে উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন আশিকুর রহমান শিবলি ও চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে শিবলি ও রিজওয়ান ১২৫ রানের বড় জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৬০ রানে আউট হন রিজওয়ান। এরপর তৃতীয় উইকেটে আসে ৮৬ রান। যেখানে ৪০ বলে ৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন আরিফুল।
ইনিংসের শেষদিকে অধিনায়ক রাব্বি ছাড়া আর কেউই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এদিনও আলো ছড়িয়েhছেন শিবলি। ১২৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১৪৯ বলে ১২৯ রান করেন শিবলি। যুব এশিয়া কাপের চলতি আসরে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আরব আমিরাতের হয়ে আয়মান আহমেদ চারটি, এমিদ রহমাদ দুটি এবং হার্দিক পাই ও ধ্রুব পরশর একটি করে উইকেট লাভ করেন।