ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল

  • Update Time : ১১:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 100

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ মিছিল করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত মিছিল করেন তারা । পরে ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস পেয়ে সেদিনের মতো কর্মসূচি শেষ করা হয়।

এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ও শাহবাগ এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। হামলায় দুই নেতাই গুরুতর আহত হয়েছেন। মেঘমল্লারের বাঁ চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আর মাঈনের কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়েছে। একই সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের আরও দুই নেতাকেও মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

আহত মেঘমল্লার বসু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর রাজধানীর একটি বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালে গেছেন। তিনি বলেন, টিএসসি থেকেই আমাকে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা অনুসরণ করছিলেন। শাহবাগ মোড়ে তাঁরা আমার ও আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা শুভ্রর ওপর হামলা করেন। হামলায় আমি বাঁ চোখ ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছি।

সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেন, দুপুরে ডাস ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে রিকশায় উঠে কিছু দূর এগোতেই ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করেন। হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসানের কয়েকজন অনুসারীকে তিনি চিনতে পেরেছেন।

মেঘমল্লার ও মাঈন ছাড়াও এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য শাহরিয়ার শিহাব এবং ঢাকা মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক তাজওয়ার শুভ্রকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের দুজনকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুভ্র শাহবাগে মেঘমল্লারের সঙ্গে ছিলেন। আর শাহরিয়ারকে পলাশী এলাকায় মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ওপর এই হামলার পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশকারা রয়েছে অভিযোগ করে সন্ধ্যায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে ‘বাহ্ ভিসি চমৎকার, ছাত্রলীগের পাহারাদার’ বলে স্লোগান দেয় তারা। সেখানে ঘণ্টাখানেক স্লোগান ও বক্তব্য চলার পর বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল সাড়ে সাতটার দিকে কার্যালয়ের ভেতরে যান। উপাচার্য একটি বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা প্রক্টর মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা আলোচনার পর প্রতিনিধিদল বেরিয়ে আসে। তাদের পক্ষ থেকে ছাত্র কাউন্সিলের নেতা ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার দ্রুত বিচার চেয়েছি। প্রক্টর আমাদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এই হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার শাহবাগে একটি সংহতি সমাবেশ হবে। সেখান থেকেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে।

তবে ছাত্র ইউনিয়নের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, এটা একটা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা যে কাজ করেছে, সেজন্য সাংগঠনিকভাবে ক্ষমা না চাইলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। আমি আগেই বলেছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন তাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য। তারা ক্ষমা চেয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি না দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে এবং বয়কট করবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতি রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হয় । মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের উদ্বোধন সামনে রেখে গত মাসের শেষ দিকে ওই কাঠামোটি রাখা হয়। এতে রাজু ভাস্কর্য আড়ালে চলে যাওয়ায় ছাত্রলীগকে সেটি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানায় ছাত্র ইউনিয়ন। তবে তাতে কাজ হয়নি।

এর মধ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল হয়। মিছিল শেষে সমাবেশ করতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এলে বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের কয়েকজন রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের স্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাম সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করেন। হামলায় ৮ থেকে ১০ জন নেতা–কর্মী আহত হন।

এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টিএসসিতে বিক্ষোভ করেন, রাজু ভাস্কর্যও কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় তারা। ভাস্কর্যের কাঠামোতে ‘ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ লেখা ব্যানারও সাঁটিয়ে দেয় তারা। এ অবস্থার মধ্যে ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল

Update Time : ১১:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ মিছিল করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত মিছিল করেন তারা । পরে ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস পেয়ে সেদিনের মতো কর্মসূচি শেষ করা হয়।

এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ও শাহবাগ এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। হামলায় দুই নেতাই গুরুতর আহত হয়েছেন। মেঘমল্লারের বাঁ চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আর মাঈনের কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়েছে। একই সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের আরও দুই নেতাকেও মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

আহত মেঘমল্লার বসু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর রাজধানীর একটি বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালে গেছেন। তিনি বলেন, টিএসসি থেকেই আমাকে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা অনুসরণ করছিলেন। শাহবাগ মোড়ে তাঁরা আমার ও আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা শুভ্রর ওপর হামলা করেন। হামলায় আমি বাঁ চোখ ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছি।

সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেন, দুপুরে ডাস ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে রিকশায় উঠে কিছু দূর এগোতেই ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করেন। হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসানের কয়েকজন অনুসারীকে তিনি চিনতে পেরেছেন।

মেঘমল্লার ও মাঈন ছাড়াও এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য শাহরিয়ার শিহাব এবং ঢাকা মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক তাজওয়ার শুভ্রকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের দুজনকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুভ্র শাহবাগে মেঘমল্লারের সঙ্গে ছিলেন। আর শাহরিয়ারকে পলাশী এলাকায় মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ওপর এই হামলার পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশকারা রয়েছে অভিযোগ করে সন্ধ্যায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে ‘বাহ্ ভিসি চমৎকার, ছাত্রলীগের পাহারাদার’ বলে স্লোগান দেয় তারা। সেখানে ঘণ্টাখানেক স্লোগান ও বক্তব্য চলার পর বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল সাড়ে সাতটার দিকে কার্যালয়ের ভেতরে যান। উপাচার্য একটি বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা প্রক্টর মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা আলোচনার পর প্রতিনিধিদল বেরিয়ে আসে। তাদের পক্ষ থেকে ছাত্র কাউন্সিলের নেতা ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার দ্রুত বিচার চেয়েছি। প্রক্টর আমাদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এই হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার শাহবাগে একটি সংহতি সমাবেশ হবে। সেখান থেকেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে।

তবে ছাত্র ইউনিয়নের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, এটা একটা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা যে কাজ করেছে, সেজন্য সাংগঠনিকভাবে ক্ষমা না চাইলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। আমি আগেই বলেছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন তাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য। তারা ক্ষমা চেয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি না দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে এবং বয়কট করবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতি রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হয় । মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের উদ্বোধন সামনে রেখে গত মাসের শেষ দিকে ওই কাঠামোটি রাখা হয়। এতে রাজু ভাস্কর্য আড়ালে চলে যাওয়ায় ছাত্রলীগকে সেটি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানায় ছাত্র ইউনিয়ন। তবে তাতে কাজ হয়নি।

এর মধ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল হয়। মিছিল শেষে সমাবেশ করতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এলে বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের কয়েকজন রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের স্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাম সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করেন। হামলায় ৮ থেকে ১০ জন নেতা–কর্মী আহত হন।

এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টিএসসিতে বিক্ষোভ করেন, রাজু ভাস্কর্যও কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় তারা। ভাস্কর্যের কাঠামোতে ‘ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ লেখা ব্যানারও সাঁটিয়ে দেয় তারা। এ অবস্থার মধ্যে ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।