রাণীনগরে রেললাইনে শুয়ে ছিল মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক, প্রাণ বাঁচালেন আনসার সদস্যরা

  • Update Time : ০৯:০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 141

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে রেল লাইনে আত্মহত্যা করতে যাওয়া এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক বারিক প্রামানিকের (৪০) প্রাণ বাঁচিয়েছেন রেলওয়ের দুই আনসার সদস্য। সোমবার সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে রাণীনগর উপজেলার গোনা রেলসেতু এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আত্মহত্যার চেষ্টাকারী যুবক বারিক প্রামানিক উপজেলার বেতগাড়ি-ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে। তিনি মানসিক প্রতিন্ধী যুবক।

রেলওয়ের আনসার সদস্য (পিসি) শামীম হোসেন জানান, হরতাল-অবরোধে রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য সোমবার সকাল থেকে আমি ও সহকর্মী মিনার হোসেন গোনা রেলসেতু এলাকায় ডিউটি করছিলাম। সকাল আনুমানিক পৌঁনে ১০টার দিকে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন রাণীনগর স্টেশন ছেড়ে গোনা এলাকায় পৌঁছান। এ সময় গোনা রেলসেতুর পাশে রেল লাইনের ওপরে এক যুবককে আমরা শুয়ে থাকতে দেখে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিচ্ছিল না। তখন ট্রেনটি দুই-তিন শ’ মিটার দুরে ছিল। এ সময় আমরা দ্রুত গতিতে দৌঁড়ে গিয়ে ওই মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচায়। এরপর তার পরিবারের খবর দিলে তার বোন এসে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ভাইকে নিয়ে যান।

বারিকের বোন মোছা. যমুনা বলেন, খবর পেয়ে আমি বাড়ি থেকে ছুটে আছি। এসে দেখি ভাই বারিককে নিয়ে দুই আনসার সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন বসে আছেন। এসে শুনি আমার ভাই আত্মহত্যা করার জন্য রেল লাইনে শুয়ে ছিলেন। এ সময় ডিউটিরত দুই আনসার সদস্য আমার ভাইয়ের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার ভাই একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। ভাইকে প্রাণে বাঁচানো জন্য ওই দুই আনসার সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীনগরে রেললাইনে শুয়ে ছিল মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক, প্রাণ বাঁচালেন আনসার সদস্যরা

Update Time : ০৯:০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে রেল লাইনে আত্মহত্যা করতে যাওয়া এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক বারিক প্রামানিকের (৪০) প্রাণ বাঁচিয়েছেন রেলওয়ের দুই আনসার সদস্য। সোমবার সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে রাণীনগর উপজেলার গোনা রেলসেতু এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আত্মহত্যার চেষ্টাকারী যুবক বারিক প্রামানিক উপজেলার বেতগাড়ি-ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে। তিনি মানসিক প্রতিন্ধী যুবক।

রেলওয়ের আনসার সদস্য (পিসি) শামীম হোসেন জানান, হরতাল-অবরোধে রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য সোমবার সকাল থেকে আমি ও সহকর্মী মিনার হোসেন গোনা রেলসেতু এলাকায় ডিউটি করছিলাম। সকাল আনুমানিক পৌঁনে ১০টার দিকে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন রাণীনগর স্টেশন ছেড়ে গোনা এলাকায় পৌঁছান। এ সময় গোনা রেলসেতুর পাশে রেল লাইনের ওপরে এক যুবককে আমরা শুয়ে থাকতে দেখে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিচ্ছিল না। তখন ট্রেনটি দুই-তিন শ’ মিটার দুরে ছিল। এ সময় আমরা দ্রুত গতিতে দৌঁড়ে গিয়ে ওই মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচায়। এরপর তার পরিবারের খবর দিলে তার বোন এসে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ভাইকে নিয়ে যান।

বারিকের বোন মোছা. যমুনা বলেন, খবর পেয়ে আমি বাড়ি থেকে ছুটে আছি। এসে দেখি ভাই বারিককে নিয়ে দুই আনসার সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন বসে আছেন। এসে শুনি আমার ভাই আত্মহত্যা করার জন্য রেল লাইনে শুয়ে ছিলেন। এ সময় ডিউটিরত দুই আনসার সদস্য আমার ভাইয়ের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার ভাই একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। ভাইকে প্রাণে বাঁচানো জন্য ওই দুই আনসার সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।