চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো ট্রেন যাচ্ছে আজ
- Update Time : ১২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
- / 110
জেলা প্রতিনিধি
রোববার (৫ নভেম্বর)। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে নতুন নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ পরিদর্শনের জন্য এই ট্রেন চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে নতুন নির্মিত এই রেললাইন যাচাই করে দেখবেন পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে সরকারি রেল পরিদর্শক রহুল কাদের আজাদ, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম, প্রকল্পের এপিডি আবুল কালাম চৌধুরী, অ্যাডিশনাল সিওপিএস জাকির হোসেনসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা রয়েছেন। আটটি বগি নিয়ে ট্রেনটি ছুটছে।
সাধারণত দেশের কোথাও নতুন রেললাইন নির্মিত হলে পরিদর্শন অধিদপ্তর পরীক্ষা করে দেখে। অধিদপ্তর ছাড়পত্র দিলে নতুন রেলপথটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়। এরপর ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চলাচল) ও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারবে৷
ট্রেন ছাড়ার আগে চট্টগ্রাম স্টেশন প্ল্যাটফর্মে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘সাধারণত নিয়ম হলো নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হলে তা পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন সরকারি রেল পরিদর্শক। তিনি যাচাই-বাছাই করে দেখছেন কাজ ঠিকমতো হয়েছে কি না, রেলপথ নিরাপদ কি না। তিনি যদি সার্টিফাই না করেন তাহলে ট্রেন পরিচালনা করা যাবে না। তিনি যাওয়ার জন্য নিরাপদ বললে তখন ট্রেন চালানো যাবে। এটা রেলওয়ের রুটিন ওয়ার্ক। এটা কোনো ট্রায়াল রান না। এটা পরিদর্শন ট্রেন।’
২০১৮ সালে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে।
১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন উপলক্ষে কক্সবাজারে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘৭ নভেম্বর রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে যে ট্রায়াল রান হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। এখন আজ রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ট্রেন চালিয়ে দেখানো হচ্ছে কোথাও কোনো সমস্যা বা ত্রুটি আছে কি না।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে মোট প্রকল্পের কাজ ৯২ শতাংশ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়।’