চাঁদপুর-৩ আসনে আ.লীগের তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সুজিত রায় নন্দী

  • Update Time : ০১:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / 258

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর-হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা সুজিত রায় নন্দী।

তিনি এ আসনে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দুই উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া মহল্লা, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনসুম্মুখে গণসংযোগ এবং সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন।

এ ছাড়া সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নিজের আদর্শ, মেধা ও দূরদর্শিতা দিয়ে চাঁদপুর-৩ আসনের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে চান এই প্রার্থী।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুজিত রায় নন্দী আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এ আসনে তার বিকল্প নেই। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে কোন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি হবে না। নেতাকর্মীরা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাা জরিপের মাধ্যমে চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিতভাবে তিনিই মনোনয়ন পাবেন।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বিডি সমাচার কে জানান, সুজিত রায় নন্দী রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি প্রতিটি সামাজিক কর্মকান্ডে রেখেছেন অভাবনীয় ভূমিকা। তিনি দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক থাকাকালীন করোনা মহামারীর সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন নগদ অর্থ ও খাবার। দিয়েছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। শীতার্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করেছেন কম্বল বিতরণ। ঈদ, পূজা উৎসব থেকে শুরু করে প্রতিটি বিশেষ দিনে সহযোগিতা নিয়ে ছুটে যান নির্বাচনী দুই উপজেলার অসহায় হত দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি। এছাড়াও যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে গড়ে তুলেছেন ফুটবল একাডেমি এবং বিভিন্ন মাঠে গিয়ে খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ। গড়ে তুলেছেন চাঁদপুর ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ, সিটি কলেজ এছাড়াও অসংখ্য স্কুল, মাদ্রাসা।

চাঁদপুরে আলেম সমাজের নেতৃত্ব দেওয়া এক আলেম বিডি সমাচার কে জানান, সুজিত রায় নন্দী একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। অসাম্প্রদায়িক মানুষ। উনার সহযোগীতায় চাঁদপুর হাইমচরে অনেক এতিমখানা মাদ্রাসা চলে। উনার মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই। উনি ভালো মনের মানুষ। উনি আসলে আমাদের চাঁদপুরের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

মফস্বলের একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এলাকায় সুজিত রায় নন্দীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের জয়লাভ নিশ্চিত হবে। আসল আওয়ামী লীগরা মূল্যায়ন পাবে। উনারে এবার দেওয়া দরকার।

সুজিত রায় নন্দী বিডি সমাচার কে বলেন, ‘আমি সেবক হিসেবে সর্বদা জনগণের পাশে থাকতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিটি সময় দেশের সংকটপন্ন মুহুর্তে জনগণের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে সুপ্রিম অথরিটি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। দলের স্বার্থে উনি যাকে ভালো মনে করবেন- সেটাই হবে বিবেচ্য বিষয়। তিনশ আসনই ওনার নখদর্পণে আছে। এখানে ব্যক্তি কোন বিষয় না। বিবেচ্য বিষয় হলো নৌকা প্রতীক ও আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে জনগণের সাথে আছি। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল সেই নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর থেকে মনোনয়ন না পেলেও জনগণের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকব। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা কে কি পেলাম সেটা বিবেচ্য নয়; প্রধান বিবেচ্য বিষয় আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

সুজিত রায় নন্দী ১৯৬৮ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।

চাঁদপুর থেকে এস.এস.সি ও এইচএসসি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও এমকম ডিগ্রি অর্জন করেন সুজিত রায় নন্দী।

ছেলে বেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন বর্ণ্যাঢ্য এই রাজনীতিবিদ।

১৯৮৪ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সুজিত রায় নন্দী। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে ঢাবির জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও ৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ হলের এজিসি ও পরে জিসি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ১৯৯৪ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১২ সালে ফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বাইশ জনের মাঝে সুজিত রায় নন্দীকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগেরসম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।

একাধারে তিনি একজন সমাজসেবক ও একজন দানবীরও বটে। চাঁদপুরবাসী তাকে দাদা বলে একনামে সম্মোদন করেন।

তিনি নিজ এলাকার ফরাক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। চাঁদপুর সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিও তিনি। এছাড়া কুমুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং বালিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক তিনি। একাধারে তিনি কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও গভনিং বডির সদস্য, ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, চর ফতেজংপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, ফরক্কাবাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা, ঈশানবালা এম জে এস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অপরিসীম অবদান রাখেন ও রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চাঁদপুর-৩ আসনে আ.লীগের তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সুজিত রায় নন্দী

Update Time : ০১:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর-হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা সুজিত রায় নন্দী।

তিনি এ আসনে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দুই উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া মহল্লা, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনসুম্মুখে গণসংযোগ এবং সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন।

এ ছাড়া সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নিজের আদর্শ, মেধা ও দূরদর্শিতা দিয়ে চাঁদপুর-৩ আসনের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে চান এই প্রার্থী।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুজিত রায় নন্দী আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এ আসনে তার বিকল্প নেই। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে কোন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি হবে না। নেতাকর্মীরা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাা জরিপের মাধ্যমে চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিতভাবে তিনিই মনোনয়ন পাবেন।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বিডি সমাচার কে জানান, সুজিত রায় নন্দী রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি প্রতিটি সামাজিক কর্মকান্ডে রেখেছেন অভাবনীয় ভূমিকা। তিনি দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক থাকাকালীন করোনা মহামারীর সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন নগদ অর্থ ও খাবার। দিয়েছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। শীতার্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করেছেন কম্বল বিতরণ। ঈদ, পূজা উৎসব থেকে শুরু করে প্রতিটি বিশেষ দিনে সহযোগিতা নিয়ে ছুটে যান নির্বাচনী দুই উপজেলার অসহায় হত দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি। এছাড়াও যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে গড়ে তুলেছেন ফুটবল একাডেমি এবং বিভিন্ন মাঠে গিয়ে খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ। গড়ে তুলেছেন চাঁদপুর ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ, সিটি কলেজ এছাড়াও অসংখ্য স্কুল, মাদ্রাসা।

চাঁদপুরে আলেম সমাজের নেতৃত্ব দেওয়া এক আলেম বিডি সমাচার কে জানান, সুজিত রায় নন্দী একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। অসাম্প্রদায়িক মানুষ। উনার সহযোগীতায় চাঁদপুর হাইমচরে অনেক এতিমখানা মাদ্রাসা চলে। উনার মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই। উনি ভালো মনের মানুষ। উনি আসলে আমাদের চাঁদপুরের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

মফস্বলের একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এলাকায় সুজিত রায় নন্দীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের জয়লাভ নিশ্চিত হবে। আসল আওয়ামী লীগরা মূল্যায়ন পাবে। উনারে এবার দেওয়া দরকার।

সুজিত রায় নন্দী বিডি সমাচার কে বলেন, ‘আমি সেবক হিসেবে সর্বদা জনগণের পাশে থাকতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিটি সময় দেশের সংকটপন্ন মুহুর্তে জনগণের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে সুপ্রিম অথরিটি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। দলের স্বার্থে উনি যাকে ভালো মনে করবেন- সেটাই হবে বিবেচ্য বিষয়। তিনশ আসনই ওনার নখদর্পণে আছে। এখানে ব্যক্তি কোন বিষয় না। বিবেচ্য বিষয় হলো নৌকা প্রতীক ও আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে জনগণের সাথে আছি। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল সেই নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর থেকে মনোনয়ন না পেলেও জনগণের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকব। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা কে কি পেলাম সেটা বিবেচ্য নয়; প্রধান বিবেচ্য বিষয় আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

সুজিত রায় নন্দী ১৯৬৮ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।

চাঁদপুর থেকে এস.এস.সি ও এইচএসসি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও এমকম ডিগ্রি অর্জন করেন সুজিত রায় নন্দী।

ছেলে বেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন বর্ণ্যাঢ্য এই রাজনীতিবিদ।

১৯৮৪ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সুজিত রায় নন্দী। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে ঢাবির জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও ৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ হলের এজিসি ও পরে জিসি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ১৯৯৪ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১২ সালে ফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বাইশ জনের মাঝে সুজিত রায় নন্দীকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগেরসম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।

একাধারে তিনি একজন সমাজসেবক ও একজন দানবীরও বটে। চাঁদপুরবাসী তাকে দাদা বলে একনামে সম্মোদন করেন।

তিনি নিজ এলাকার ফরাক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। চাঁদপুর সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিও তিনি। এছাড়া কুমুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং বালিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক তিনি। একাধারে তিনি কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও গভনিং বডির সদস্য, ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, চর ফতেজংপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, ফরক্কাবাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা, ঈশানবালা এম জে এস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অপরিসীম অবদান রাখেন ও রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা।