“বর্ডার হার্টে ২৫ জন পণ্য বিক্রেতা বাতিল চেয়ে” প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ১৭ জনকে লিগ্যাল নোটিশ

  • Update Time : ০৪:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • / 395

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রীর ২০১০ সালে ভারত সফরকালে ইস্যুকৃত জয়েন্ট কমিউনিক(Joint Communique) অনুযায়ী উভয় দেশের সীমান্ত বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যার ফলশ্রুতিতে,২০১১ সালে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি সীমান্তে ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইয়ের চর সীমান্তে জিরো পয়েন্টে বর্ডার হাটটি কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারের নানা উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙ্গা করে, তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন করা সহ দুদেশের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করা ছিল মূল লক্ষ্য। অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সীমান্ত হাটটি স্থাপন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ জন করে উভয় দেশের পণ্য বিক্রেতা পণ্য বিক্রয় করার কথা উল্লেখ থাকলেও, বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ২৫ জন।পক্ষান্তরে ভারতের অংশে ৭৫ জন পণ্য বিক্রেতা।

বর্তমানে,বাংলাদেশের অংশে
যে ২৫ জন পণ্য বিক্রেতা কার্ডধারী রয়েছে,তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্যের ফলে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক-স্বচ্ছলতা ও বেকারত্বসহ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নতি সাধন হয়েছে। যা বর্ডারহাট স্থাপনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়েছে। যেহেতু পুরাতন ২৫ জন পণ্য বিক্রেতা যথেষ্ট স্বাবলম্বী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ্ন হয়েছে। তাই বর্তমানে পুরাতন ২৫জন পণ্য বিক্রেতা বাদ দিয়ে নতুন করে ২৫ জন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গণ বিজ্ঞপ্তির আলোকে অবশিষ্ট ২৫ জন পণ্য বিক্রেতাসহ সর্বমোট ৫০ জন পণ্য বিক্রেতা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা হলে,এ অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের জন্য সার্বজনীন যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে এবং সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।এতে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।জনস্বার্থে, সার্বজনীন ন্যায়সঙ্গত সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সীমান্ত হাটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক (গণবিজ্ঞতির আলোকে)
পণ্য বিক্রেতা ও ক্রেতা নিয়োগ প্রক্রিয়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে।

উক্ত লিগ্যাল নোটিশে মোঃ আকিদুল ইসলাম সুমন ও শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব,স্বরাস্ট্র (জননিরাপত্তা বিভাগ)মন্ত্রণালয়ের সচিব,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব,বিভাগীয় কমিশনার, ডি.সি ও ইউএনও সহ সর্বমোট ১৭ জন বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


“বর্ডার হার্টে ২৫ জন পণ্য বিক্রেতা বাতিল চেয়ে” প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ১৭ জনকে লিগ্যাল নোটিশ

Update Time : ০৪:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রীর ২০১০ সালে ভারত সফরকালে ইস্যুকৃত জয়েন্ট কমিউনিক(Joint Communique) অনুযায়ী উভয় দেশের সীমান্ত বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যার ফলশ্রুতিতে,২০১১ সালে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি সীমান্তে ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইয়ের চর সীমান্তে জিরো পয়েন্টে বর্ডার হাটটি কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারের নানা উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙ্গা করে, তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন করা সহ দুদেশের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করা ছিল মূল লক্ষ্য। অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সীমান্ত হাটটি স্থাপন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ জন করে উভয় দেশের পণ্য বিক্রেতা পণ্য বিক্রয় করার কথা উল্লেখ থাকলেও, বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ২৫ জন।পক্ষান্তরে ভারতের অংশে ৭৫ জন পণ্য বিক্রেতা।

বর্তমানে,বাংলাদেশের অংশে
যে ২৫ জন পণ্য বিক্রেতা কার্ডধারী রয়েছে,তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্যের ফলে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক-স্বচ্ছলতা ও বেকারত্বসহ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নতি সাধন হয়েছে। যা বর্ডারহাট স্থাপনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়েছে। যেহেতু পুরাতন ২৫ জন পণ্য বিক্রেতা যথেষ্ট স্বাবলম্বী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ্ন হয়েছে। তাই বর্তমানে পুরাতন ২৫জন পণ্য বিক্রেতা বাদ দিয়ে নতুন করে ২৫ জন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গণ বিজ্ঞপ্তির আলোকে অবশিষ্ট ২৫ জন পণ্য বিক্রেতাসহ সর্বমোট ৫০ জন পণ্য বিক্রেতা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা হলে,এ অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের জন্য সার্বজনীন যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে এবং সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।এতে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।জনস্বার্থে, সার্বজনীন ন্যায়সঙ্গত সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সীমান্ত হাটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক (গণবিজ্ঞতির আলোকে)
পণ্য বিক্রেতা ও ক্রেতা নিয়োগ প্রক্রিয়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে।

উক্ত লিগ্যাল নোটিশে মোঃ আকিদুল ইসলাম সুমন ও শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব,স্বরাস্ট্র (জননিরাপত্তা বিভাগ)মন্ত্রণালয়ের সচিব,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব,বিভাগীয় কমিশনার, ডি.সি ও ইউএনও সহ সর্বমোট ১৭ জন বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।