নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ‘অবাক’ মির্জা ফখরুল

  • Update Time : ০৩:১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 154

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন কথায় অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে বলেন, ‘আজকে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আমরা করছি, তখনই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা, এর অর্থটা কী? আজ দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন কেন?’

এ প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি অবাক হচ্ছেন- নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? আমরা তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি। বাংলাদেশের সব মানুষ জানে বাংলদেশে ভোট হয় না, তারা ভোট দিতে পারে না। দু’দুটো নির্বাচন উনাদের অধীনে হয়েছে। একটা হয়েছে ২০১৪তে, আরেকটা ‘১৮তে। ‘১৪তে ১৫৪ জনকে উনারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো লোক ছিল না। কোনো রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। যার জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে। নির্বাচনেরে মূল বিষয়টা হচ্ছে- ভোটাররা ভোট দেবে। ভোটাররা তাদের মতামত ভোটের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সেই মতামতের ভিত্তিতে পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই পার্লামেন্ট দেশ চালাবে। ২০১৮ তে কী হয়েছে? আগের রাতে ভোট দেখিয়েছে, ভোট করেছে। তার আগে থেকে অর্থাৎ শিডিউল ঘোষণার কয়েকদিন পর থেকে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। এমনকি ২৯ জন প্রার্থীকেও গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কাজে লাগিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখনো নির্বাচন সংক্রান্ত ৫০টি মামলা হাইকোর্টে আছে। সেইগুলোর বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। তাহলে গোটা ব্যবস্থাটা কী? গোটা ব্যবস্থাটা হচ্ছে- একটা দলকে নির্বাচিত করা। একটা দলকে সমস্ত সুব্যবস্থা করা, যাতে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে।’

এমন একটা প্রেক্ষাপটে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। ওই নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা- সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, এই নির্বাচনে তখনই যাওয়া সম্ভব হবে, যখন একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। কারণ, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি তাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে সেই নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু হতে পারে না। সে কারণে আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে একদফা দিয়েছি। সেখানে পরিষ্কার করে বলা হযেছে, নির্বাচনের পূর্বেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে এবং নুতন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আর আমরা এমনি এমনি বলিনি। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন খেলা করার জন্য বলেনি। এ দেশের মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্যই এখানে একটা নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এটা শুধু আমরা নই, সমগ্র বিশ্ব বলছে। তাই উনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন বলেন, এত ভালো নির্বাচন করছি আমরা- সেখানে আজকে প্রশ্ন উঠে কেন। আপনি একটু দয়া করে সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, ওই জিনিসটা তো আপনারা করেন না। আপনারা সব সময় মানুষকে বোকা বানানোর জন্য যা কিছু বলতে থাকেন, আরেকটা বশংবদ মিডিয়া গ্রুপ আছে, তারা ওটাই প্রচার করতে থাকে সারাদিন ধরে।’

১১ সেপ্টেম্বর বিকালে মাদারগঞ্জে নবনির্মিত পৌর ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষে ভোট চান জামালপুরের ডিসি ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে- আমাদের অনেক কষ্টের অর্জিত এই স্বাধীনতা। আমাদের এই স্বাধীনতার সুফল হলো আজকের যোগাযোগ ও উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। যে সরকার এই উন্নয়ন করেছে, এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে সেই সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে; এটা হবে আমাদের অঙ্গীকার।’

তার এ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্যে জেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইমরান আহমেদকে প্রত্যাহার করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

এ ঘটনাকে সরকারের ‘আইওয়াশ’ বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ডিসি কথা বলেছে। কিন্তু গ্রেপ্তার সব করছে এসপি। এই এসপি শেরপুরে ছিল। সেখানে কোনো কর্মসূচি করতে দেয় নাই। সে ঘোষণা দিয়ে বলে, বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি করতে দেব না। এই জন্যই বললাম, এগুলো আইওয়াশ। একটা-দুইটা ব্যবস্থা নিয়ে বলবে, দেখ কেমন ব্যবস্থা নিলাম। তাও আবার নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়েছে। সরকার নিজে কোনো চিঠি দেয়নি। দ্যাটস টোটালি এন আইওয়াশ।’

তিনি অবিলম্বে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় গত বৃহস্পতিবার তাদেরকে পৃথকভাবে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ‘অবাক’ মির্জা ফখরুল

Update Time : ০৩:১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন কথায় অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে বলেন, ‘আজকে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আমরা করছি, তখনই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা, এর অর্থটা কী? আজ দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন কেন?’

এ প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি অবাক হচ্ছেন- নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? আমরা তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি। বাংলাদেশের সব মানুষ জানে বাংলদেশে ভোট হয় না, তারা ভোট দিতে পারে না। দু’দুটো নির্বাচন উনাদের অধীনে হয়েছে। একটা হয়েছে ২০১৪তে, আরেকটা ‘১৮তে। ‘১৪তে ১৫৪ জনকে উনারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো লোক ছিল না। কোনো রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। যার জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে। নির্বাচনেরে মূল বিষয়টা হচ্ছে- ভোটাররা ভোট দেবে। ভোটাররা তাদের মতামত ভোটের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সেই মতামতের ভিত্তিতে পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই পার্লামেন্ট দেশ চালাবে। ২০১৮ তে কী হয়েছে? আগের রাতে ভোট দেখিয়েছে, ভোট করেছে। তার আগে থেকে অর্থাৎ শিডিউল ঘোষণার কয়েকদিন পর থেকে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। এমনকি ২৯ জন প্রার্থীকেও গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কাজে লাগিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখনো নির্বাচন সংক্রান্ত ৫০টি মামলা হাইকোর্টে আছে। সেইগুলোর বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। তাহলে গোটা ব্যবস্থাটা কী? গোটা ব্যবস্থাটা হচ্ছে- একটা দলকে নির্বাচিত করা। একটা দলকে সমস্ত সুব্যবস্থা করা, যাতে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে।’

এমন একটা প্রেক্ষাপটে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। ওই নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা- সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, এই নির্বাচনে তখনই যাওয়া সম্ভব হবে, যখন একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। কারণ, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি তাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে সেই নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু হতে পারে না। সে কারণে আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে একদফা দিয়েছি। সেখানে পরিষ্কার করে বলা হযেছে, নির্বাচনের পূর্বেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে এবং নুতন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আর আমরা এমনি এমনি বলিনি। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন খেলা করার জন্য বলেনি। এ দেশের মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্যই এখানে একটা নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এটা শুধু আমরা নই, সমগ্র বিশ্ব বলছে। তাই উনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন বলেন, এত ভালো নির্বাচন করছি আমরা- সেখানে আজকে প্রশ্ন উঠে কেন। আপনি একটু দয়া করে সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, ওই জিনিসটা তো আপনারা করেন না। আপনারা সব সময় মানুষকে বোকা বানানোর জন্য যা কিছু বলতে থাকেন, আরেকটা বশংবদ মিডিয়া গ্রুপ আছে, তারা ওটাই প্রচার করতে থাকে সারাদিন ধরে।’

১১ সেপ্টেম্বর বিকালে মাদারগঞ্জে নবনির্মিত পৌর ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষে ভোট চান জামালপুরের ডিসি ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে- আমাদের অনেক কষ্টের অর্জিত এই স্বাধীনতা। আমাদের এই স্বাধীনতার সুফল হলো আজকের যোগাযোগ ও উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। যে সরকার এই উন্নয়ন করেছে, এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে সেই সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে; এটা হবে আমাদের অঙ্গীকার।’

তার এ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জেলা প্রশাসকের এমন বক্তব্যে জেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইমরান আহমেদকে প্রত্যাহার করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

এ ঘটনাকে সরকারের ‘আইওয়াশ’ বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ডিসি কথা বলেছে। কিন্তু গ্রেপ্তার সব করছে এসপি। এই এসপি শেরপুরে ছিল। সেখানে কোনো কর্মসূচি করতে দেয় নাই। সে ঘোষণা দিয়ে বলে, বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি করতে দেব না। এই জন্যই বললাম, এগুলো আইওয়াশ। একটা-দুইটা ব্যবস্থা নিয়ে বলবে, দেখ কেমন ব্যবস্থা নিলাম। তাও আবার নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়েছে। সরকার নিজে কোনো চিঠি দেয়নি। দ্যাটস টোটালি এন আইওয়াশ।’

তিনি অবিলম্বে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় গত বৃহস্পতিবার তাদেরকে পৃথকভাবে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।