মসজিদের বারান্দায় নারী-পুরুষের কারাত প্রশিক্ষণ, ক্ষমা চাইলেন আয়োজকরা

  • Update Time : ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 125

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।।

কুমল্লা নগরীর ঢুলিপাড়া জামে মসজিদের বারান্দায় কারাত প্রশিক্ষণ হওয়াই এলাকার বাসিন্দারা এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এটার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েছেন অনুষ্ঠানটির আয়োজকেরা।

রবিবার বিকেলে ঢুলিপাড়া জামে মসজিদের বারান্দায় এই আয়োজন করা হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া।

এলাকাবাসী জানায়, ইউনিসেফ নামের একটি সংস্থার লোক মসজিদের বারান্দায় কয়েকটি মেয়ে ও ছেলেকে দিয়ে কারাতা শিখাচ্ছে। তারা কেন আল্লাহর ঘর মসজিদে এসব কারাতের প্রশিক্ষণ করাতে হবে তা মুসলিম হিসেবে দুঃখজনক। আর ইউনিসেফতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের কাছে এমন কিছু আশা করিনি বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

সালাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, আল্লার ঘর লইয়াও ফাইজলামি শুরু হইয়া গেছে। এত মুসলমান থাকা সত্বেও তারা কিভাবে এমন কাজ করতে পারে। তারা এখানে না করে যে কোন মাঠে করলেইতো হতো। এটা খুবই দুঃখজনক।

ঢুলিপাড়ার আরেক বাসিন্দা শাহিন বলেন, মসজিদ হলো পবিত্র স্থান। এখানে কিভাবে আয়োজকরা এতো মহিলা ও পুরুষদের চেয়ারে বসাইয়া কারাত শিখায়। আমরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

ইউনিসেফ কুমিল্লা শহরের প্রতিনিধি কামরুল হাসান বলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। বিষয়টি নিশ্চয়ই দুঃখজনক ও এটা কখনও কাম্য নয়। সেনাবাহিনীদের থেকে অনুমতি নিয়ে ৪ দিনের জন্য ঢুলিপাড়ায় মসজিদ মাঠে এমন আয়োজন করেছি। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়াতে আমরা মসজিদের বারান্দায় আয়োজনটি করেছি।

কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আয়োজকদের আমন্ত্রণে ওখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। মসজিদের বারান্দায় আয়োজন করার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মসজিদের বারান্দায় নারী-পুরুষের কারাত প্রশিক্ষণ, ক্ষমা চাইলেন আয়োজকরা

Update Time : ০৭:৩১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।।

কুমল্লা নগরীর ঢুলিপাড়া জামে মসজিদের বারান্দায় কারাত প্রশিক্ষণ হওয়াই এলাকার বাসিন্দারা এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এটার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েছেন অনুষ্ঠানটির আয়োজকেরা।

রবিবার বিকেলে ঢুলিপাড়া জামে মসজিদের বারান্দায় এই আয়োজন করা হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া।

এলাকাবাসী জানায়, ইউনিসেফ নামের একটি সংস্থার লোক মসজিদের বারান্দায় কয়েকটি মেয়ে ও ছেলেকে দিয়ে কারাতা শিখাচ্ছে। তারা কেন আল্লাহর ঘর মসজিদে এসব কারাতের প্রশিক্ষণ করাতে হবে তা মুসলিম হিসেবে দুঃখজনক। আর ইউনিসেফতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের কাছে এমন কিছু আশা করিনি বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

সালাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, আল্লার ঘর লইয়াও ফাইজলামি শুরু হইয়া গেছে। এত মুসলমান থাকা সত্বেও তারা কিভাবে এমন কাজ করতে পারে। তারা এখানে না করে যে কোন মাঠে করলেইতো হতো। এটা খুবই দুঃখজনক।

ঢুলিপাড়ার আরেক বাসিন্দা শাহিন বলেন, মসজিদ হলো পবিত্র স্থান। এখানে কিভাবে আয়োজকরা এতো মহিলা ও পুরুষদের চেয়ারে বসাইয়া কারাত শিখায়। আমরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

ইউনিসেফ কুমিল্লা শহরের প্রতিনিধি কামরুল হাসান বলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। বিষয়টি নিশ্চয়ই দুঃখজনক ও এটা কখনও কাম্য নয়। সেনাবাহিনীদের থেকে অনুমতি নিয়ে ৪ দিনের জন্য ঢুলিপাড়ায় মসজিদ মাঠে এমন আয়োজন করেছি। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়াতে আমরা মসজিদের বারান্দায় আয়োজনটি করেছি।

কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আয়োজকদের আমন্ত্রণে ওখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। মসজিদের বারান্দায় আয়োজন করার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।