ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে ৩ বাঁহাতি চান শাস্ত্রী

  • Update Time : ০৬:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / 153

স্পোর্টস ডেস্ক

বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় দলে রাজত্ব চালাচ্ছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো ডানহাতি ব্যাটাররা। আইসিসির যেকোনো বড় আসরে দলটির টপ অর্ডারে বাঁহাতি কোনো ব্যাটার সুযোগ পায় না বললেই চলে। টপ অর্ডারে ডানহাতি- বাঁহাতি ব্যাটার থাকলে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে সমন্বয় গড়ে তুলতে সহজ হয় যেকোনো দলের। আর এমন ‘সমন্বয়’ গড়তে না পেরে বড় আসরগুলোতে ব্যর্থ হচ্ছে ভারত।

আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের চিন্তা জুড়ে আছে মিডল অর্ডার। লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়াস আইয়ার দীর্ঘ সময় ইনজুরিতে মাঠের বাইরে আছেন। ফলে এই পজিশনে এখনও পারফর্মারের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। এর মধ্যে ভারতের মিডল অর্ডার শক্তিশালী করতে শীর্ষ সাতে তিনজন বাঁহাতি খেলানোর পরামর্শ দেন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী।

ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারে ইতোমধ্যে আছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। এই বাঁহাতি ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও শাস্ত্রী বলেন, ‘এখানেই একজন নির্বাচকের ভূমিকা আসে কারণ তারাই খুঁজছে (বাঁহাতি ব্যাটার)। তারা জানে কে এই স্থানের জন্য ফেভারিট। যদি তিলক ভার্মা ফেভারিট হয় তাহলে তাকে নিয়ে আসুন। যদি জায়সাওয়াল ফেভারিট হয় তাহলে তাকে নিয়ে আসুন, কিন্ত দুজনকে নিয়ে আসুন। আর যদি গত ৬ থেকে ৮ মাস ধরে ইশান কিশানের সাথে অবিচল থাকেন এবং তিনি উইকেট কিপিং করতে যাচ্ছেন, তাহলে সে আসতে পারে যে কোন ক্ষেত্রে। কিন্ত জাড্ডু (জাদেজা) সহ সেই সেরা সাতে দুই বাঁহাতি থাকা, অর্থাৎ তিনজন থাকা উচিত।’

ভারতের শেষ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়েও দারুণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বাম হাতে ব্যাটিং করা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। এদিকে ২০১৯ বিশ্বকাপেও ভারতের সেমিফাইনাল হারার পিছনে অন্যতম কারণ ছিল বাঁহাতি ওপেনার শেখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতি, এমনটাই মনে করছেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার ও কোচ।

শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, সে একজন আশ্চর্যজনক খেলোয়াড় ছিল। আপনি ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আমরা সেই সেমিফাইনালে হেরেছিলাম, কিন্ত সেটা আমাদের দুর্দান্ত একটি বিশ্বকাপ ছিল। কিন্ত সেখানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। আপনি জানেন, এটি ম্যাচে বড় পার্থক্য তৈরি করেছে। যেখানে অর্ডারের শীর্ষে একজন বাঁহাতি এবং তিনজন ডানহাতির বিপরীতে বল সুইং করে যাচ্ছিল। ফলে দলগুলো কোথায় ধারাবাহিকভাবে বল করতে হবে সেটা বুঝতে পেরেছিল।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে ৩ বাঁহাতি চান শাস্ত্রী

Update Time : ০৬:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক

বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় দলে রাজত্ব চালাচ্ছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো ডানহাতি ব্যাটাররা। আইসিসির যেকোনো বড় আসরে দলটির টপ অর্ডারে বাঁহাতি কোনো ব্যাটার সুযোগ পায় না বললেই চলে। টপ অর্ডারে ডানহাতি- বাঁহাতি ব্যাটার থাকলে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে সমন্বয় গড়ে তুলতে সহজ হয় যেকোনো দলের। আর এমন ‘সমন্বয়’ গড়তে না পেরে বড় আসরগুলোতে ব্যর্থ হচ্ছে ভারত।

আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের চিন্তা জুড়ে আছে মিডল অর্ডার। লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়াস আইয়ার দীর্ঘ সময় ইনজুরিতে মাঠের বাইরে আছেন। ফলে এই পজিশনে এখনও পারফর্মারের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। এর মধ্যে ভারতের মিডল অর্ডার শক্তিশালী করতে শীর্ষ সাতে তিনজন বাঁহাতি খেলানোর পরামর্শ দেন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী।

ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারে ইতোমধ্যে আছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। এই বাঁহাতি ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও শাস্ত্রী বলেন, ‘এখানেই একজন নির্বাচকের ভূমিকা আসে কারণ তারাই খুঁজছে (বাঁহাতি ব্যাটার)। তারা জানে কে এই স্থানের জন্য ফেভারিট। যদি তিলক ভার্মা ফেভারিট হয় তাহলে তাকে নিয়ে আসুন। যদি জায়সাওয়াল ফেভারিট হয় তাহলে তাকে নিয়ে আসুন, কিন্ত দুজনকে নিয়ে আসুন। আর যদি গত ৬ থেকে ৮ মাস ধরে ইশান কিশানের সাথে অবিচল থাকেন এবং তিনি উইকেট কিপিং করতে যাচ্ছেন, তাহলে সে আসতে পারে যে কোন ক্ষেত্রে। কিন্ত জাড্ডু (জাদেজা) সহ সেই সেরা সাতে দুই বাঁহাতি থাকা, অর্থাৎ তিনজন থাকা উচিত।’

ভারতের শেষ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়েও দারুণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বাম হাতে ব্যাটিং করা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। এদিকে ২০১৯ বিশ্বকাপেও ভারতের সেমিফাইনাল হারার পিছনে অন্যতম কারণ ছিল বাঁহাতি ওপেনার শেখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতি, এমনটাই মনে করছেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার ও কোচ।

শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, সে একজন আশ্চর্যজনক খেলোয়াড় ছিল। আপনি ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আমরা সেই সেমিফাইনালে হেরেছিলাম, কিন্ত সেটা আমাদের দুর্দান্ত একটি বিশ্বকাপ ছিল। কিন্ত সেখানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। আপনি জানেন, এটি ম্যাচে বড় পার্থক্য তৈরি করেছে। যেখানে অর্ডারের শীর্ষে একজন বাঁহাতি এবং তিনজন ডানহাতির বিপরীতে বল সুইং করে যাচ্ছিল। ফলে দলগুলো কোথায় ধারাবাহিকভাবে বল করতে হবে সেটা বুঝতে পেরেছিল।’