ইবিতে ‘আই-ইইই বাংলাদেশ সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম’ অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ০৯:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / 150

শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি(আইসিটি) বিভাগ ও ব্রাকনেটের সহযোগিতায় “আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার সামার সিম্পোজিয়াম” দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯জুন) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী ও গবেষকগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, আইসিটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন।

প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান। এসময় তিনি শুধু মাত্র কম্পিউটার সমস্যা সমাধানের জন্য না মানবজীবনেও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অ্যালগরিদম ও গ্রাফ থিওরির ব্যবহার ও এর উপকারীতা তুলে ধরেন।

আইসিটি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মুস্তাকিম মুসুল্লি পিয়াস ও মারুফা মিশু সঞ্চালনায় আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম ও বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য প্রদান করেন।

অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি হচ্ছে আমাদের জীবনের গতি পরিবর্তনকারী উদ্ভাবনসমূহের চালিকাশক্তি। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির জগতে আমরা শুধু স্রষ্টাই নই, সমস্যা-সমাধানকারীও বটে। সমাজে আমাদের যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় তা হচ্ছে বৃহৎ এবং জটিল জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিসাধন ও সাইবার নিরাপত্তার স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন।

আয়োজকরা জনান, ৯টি দেশ থেকে ৪৪৮জন গবেষক তাদের ২৫৫টি গবেষণাপত্রের অ্যাবস্ট্রাক্ট জমা দিয়েছেন, যা তাঁরা অনুষ্ঠানে আজ ও আগামীকাল উপস্থাপন করবেন। অংশগ্রহনকারীদের উপস্থাপনা ও কাজের ভিত্তিতে সেরা দশ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ৯টি দেশ বাংলাদেশ, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নতি সাধনে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রকৌশল পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে সংগঠনটি। ২০১৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই-ইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ যাত্রা শুরু করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইবিতে ‘আই-ইইই বাংলাদেশ সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম’ অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৯:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি(আইসিটি) বিভাগ ও ব্রাকনেটের সহযোগিতায় “আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার সামার সিম্পোজিয়াম” দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯জুন) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী ও গবেষকগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, আইসিটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন।

প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান। এসময় তিনি শুধু মাত্র কম্পিউটার সমস্যা সমাধানের জন্য না মানবজীবনেও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অ্যালগরিদম ও গ্রাফ থিওরির ব্যবহার ও এর উপকারীতা তুলে ধরেন।

আইসিটি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মুস্তাকিম মুসুল্লি পিয়াস ও মারুফা মিশু সঞ্চালনায় আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম ও বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য প্রদান করেন।

অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি হচ্ছে আমাদের জীবনের গতি পরিবর্তনকারী উদ্ভাবনসমূহের চালিকাশক্তি। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির জগতে আমরা শুধু স্রষ্টাই নই, সমস্যা-সমাধানকারীও বটে। সমাজে আমাদের যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় তা হচ্ছে বৃহৎ এবং জটিল জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিসাধন ও সাইবার নিরাপত্তার স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন।

আয়োজকরা জনান, ৯টি দেশ থেকে ৪৪৮জন গবেষক তাদের ২৫৫টি গবেষণাপত্রের অ্যাবস্ট্রাক্ট জমা দিয়েছেন, যা তাঁরা অনুষ্ঠানে আজ ও আগামীকাল উপস্থাপন করবেন। অংশগ্রহনকারীদের উপস্থাপনা ও কাজের ভিত্তিতে সেরা দশ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ৯টি দেশ বাংলাদেশ, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নতি সাধনে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রকৌশল পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে সংগঠনটি। ২০১৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই-ইইই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ যাত্রা শুরু করে।