ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- Update Time : ০৩:২৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
- / 184
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে সরকার। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সমাবর্তনে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন, ওআইসির মহাসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসান ব্রাহিম ত্বহা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম বিশ্ব কেন পিছিয়ে পড়ছে, কারণ অনুসন্ধান করে তা সমাধানে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোকে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কলহ, একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য এবং শ্রদ্ধার অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়াসহ নানা কারণে মুসলমানরা পিছিয়ে পড়েছে। আজ মুসলিমদের দখলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদকে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে, সে বিষয়ে আন্তরিক সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে দাবি বঙ্গবন্ধু কন্যার। সবাইকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল কাজে লাগানোরও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে আইইউটি ইসলামী বিশ্বের গুণগত পরিবর্তনে সর্বদা অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আইইউটির গ্র্যাজুয়েটরা প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ এবং ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রেই নয়, বরং সারা বিশ্বে তাদের অবদান রেখে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গর্বিত স্বাগতিক দেশ এবং এর পরিচালনায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে ২০১৯ সাল থেকে কৃতকার্য হওয়া পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে আনুষ্ঠানিক গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন সনদ তুলে দেয়া হয়। স্বর্ণপদক জয়ীদের মেডেল পরিয়ে দেন ওআইসি মহাসচিব এবং প্রধানমন্ত্রী।