শান্তিপূর্ণ পরিবেশই অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক: প্রধানমন্ত্রী
- Update Time : ০১:৫৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
- / 100
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অশান্তি কিংবা সংঘাত নয়, আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অশান্ত বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতা না করে ক্ষুধার্ত শিশুদের কল্যাণে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু। ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তির প্রতীক জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে এভাবেই আখ্যায়িত করেছিলেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র।’
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আয়োজনের মধ্যমনি। এই মাহেন্দ্রক্ষণ স্মরণীয় রাখতে অবমুক্ত করেন স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম।
অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে ক্ষুধার্তদের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশই অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক বলে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে ক্ষুধার্তদের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে ডাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব ডাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।
অশান্তি কিংবা সংঘাত নয়, যেকোন পরিস্থিতিতে আলোচনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো।
বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়ারও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।