বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গ্রীষ্মকাল

  • Update Time : ১০:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / 117

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশের ইতিহাসে এপ্রিল মাসটি ছিল অন্যতম উষ্ণ মাস। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও দিনে গরমের কষ্ট কমেনি। বর্ষার আগের এই সময়ে এখন আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের গরম রীতিমতো আপদ (হ্যাজার্ড) থেকে দুর্যোগে রূপ নিচ্ছে।

গবেষকেরা বলছেন, অতি উষ্ণ তাপের মধ্যে কেউ যদি টানা ছয় ঘণ্টা থাকেন, তাহলে তার শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, ফুসফুস ও যকৃতের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। এমনকি হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।

সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীদের জন্য গ্রীষ্মকাল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই মৌসুমে উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ৬৬ শতাংশ মানুষ ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ১৯৭৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি এক দশকে গ্রীষ্মকালে এ ধরনের দিনের সংখ্যা এক থেকে তিন দিন করে বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব এলাকায় এ ধরনের তাপমাত্রা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এবং তা যদি ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়, তবে এমন অবস্থাকে অতি উষ্ণ তাপমাত্রা বলা হয়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমের ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন। আর দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় এই বিপদ সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। এখানকার ৫৩ লাখ মানুষ গরমের সময়ে বাইরে কাজ করতে বের হন। গ্রাম ও শহরের ওই অধিবাসীরা অতি উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে গেছেন।

এমন অবস্থায় গাছ লাগানো, শহরের বিভিন্ন স্থানে পানির কল স্থাপন, প্রতিটি এলাকায় একটি করে বৃক্ষ আচ্ছাদিত পার্ক তৈরি ও জলাভূমি সংরক্ষণের সুপারিশ করেছেন গবেষকেরা।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নতুন করে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের তাপমাত্রা বাড়ছে। গোটা বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তাপের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ষাটের দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যরা গরমের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তখন দেশটির বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গরমে মানুষের কষ্ট ও ঝুঁকি বোঝার চেষ্টা করেন। এ জন্য তারা উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতা, বাতাসের প্রবাহ, কোনো একটি এলাকায় কত সময় ধরে বেশি উষ্ণতা থাকছে তার সময়কাল এবং সূর্যকিরণ কোন দিক থেকে আসছে-এসব কিছু বিবেচনায় নেন।

সম্মিলিতভাবে আবহাওয়ার ওই সব কটি অবস্থা মিলিয়ে একটি সূচক তৈরি করেন, যার নাম দেওয়া হয় ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ তাপমাত্রা। একজন মানুষের ওপর ওই তাপ কতটুকু পড়ছে এবং তাঁরা কীভাবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা বোঝার জন্য সূচকটির ব্যবহার শুরু করেন তারা।

পরবর্তী সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে যাওয়া এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের নির্মাণশ্রমিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপরে এর প্রভাবের বিষয়টি সামনে আসে। অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও ওই উষ্ণ আবহাওয়ার বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। দেশগুলোর আবহাওয়া বিভাগ থেকে এ তাপমাত্রার বিষয়টিকে আলাদাভাবে পূর্বাভাস ও পর্যবেক্ষণে নিয়ে আসা হয়।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় ওই অতি উষ্ণ তাপমাত্রার ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা হয়।

আমরা এত দিন বাংলাদেশে দুর্যোগ বলতে বেশি আলোচনা করতাম ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা নিয়ে। ফলে আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সব প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ওই দুটি দুর্যোগকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। কিন্তু বজ্রপাতের মতোই গ্রীষ্মকালীন অতিরিক্ত উষ্ণতা আমাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগে (স্লো অনসেট ডিজাস্টার) পরিণত হতে যাচ্ছে। আমরা শুধু শহরের তাপমাত্রা নিয়ে বেশি চিন্তা করি। কিন্তু ঢাকার মতো বড় শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রামের কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীকে ওই গরমের মধ্যে জমিতে কাজ করতে হয়। ফলে তারাও ওই উষ্ণতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। আমাদের সামগ্রিকভাবে শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গ্রাম নিয়েও ভাবতে হবে।

গত মার্চে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী সাসটেইনেবল সিটিস অ্যান্ড সোসাইটিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীরা কী পরিমাণে তাপের চাপে আছেন এবং এর সময় ও এলাকাভিত্তিক প্রভাব নিয়ে ‘স্পেসোটেমপোরাল চেঞ্জেস ইন পপুলেশন এক্সপোজার টু হিট স্ট্রেস ইন সাউথ এশিয়া’ শিরোনামে গবেষণাটি করা হয়।

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক শামসুদ্দিন শহিদ ও আং কাইয়ো কাইয়ো, মিসরের আরব একাডেমি অব সায়েন্সের গবেষক মোহাম্মদ মাগদি হামিদ ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নতুন করে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের তাপমাত্রা বাড়ছে। গোটা বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তাপের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গ্রীষ্মকাল

Update Time : ১০:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশের ইতিহাসে এপ্রিল মাসটি ছিল অন্যতম উষ্ণ মাস। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও দিনে গরমের কষ্ট কমেনি। বর্ষার আগের এই সময়ে এখন আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের গরম রীতিমতো আপদ (হ্যাজার্ড) থেকে দুর্যোগে রূপ নিচ্ছে।

গবেষকেরা বলছেন, অতি উষ্ণ তাপের মধ্যে কেউ যদি টানা ছয় ঘণ্টা থাকেন, তাহলে তার শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, ফুসফুস ও যকৃতের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। এমনকি হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।

সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীদের জন্য গ্রীষ্মকাল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই মৌসুমে উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ৬৬ শতাংশ মানুষ ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ১৯৭৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি এক দশকে গ্রীষ্মকালে এ ধরনের দিনের সংখ্যা এক থেকে তিন দিন করে বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব এলাকায় এ ধরনের তাপমাত্রা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এবং তা যদি ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়, তবে এমন অবস্থাকে অতি উষ্ণ তাপমাত্রা বলা হয়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমের ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন। আর দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় এই বিপদ সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। এখানকার ৫৩ লাখ মানুষ গরমের সময়ে বাইরে কাজ করতে বের হন। গ্রাম ও শহরের ওই অধিবাসীরা অতি উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে গেছেন।

এমন অবস্থায় গাছ লাগানো, শহরের বিভিন্ন স্থানে পানির কল স্থাপন, প্রতিটি এলাকায় একটি করে বৃক্ষ আচ্ছাদিত পার্ক তৈরি ও জলাভূমি সংরক্ষণের সুপারিশ করেছেন গবেষকেরা।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নতুন করে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের তাপমাত্রা বাড়ছে। গোটা বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তাপের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ষাটের দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যরা গরমের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তখন দেশটির বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গরমে মানুষের কষ্ট ও ঝুঁকি বোঝার চেষ্টা করেন। এ জন্য তারা উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতা, বাতাসের প্রবাহ, কোনো একটি এলাকায় কত সময় ধরে বেশি উষ্ণতা থাকছে তার সময়কাল এবং সূর্যকিরণ কোন দিক থেকে আসছে-এসব কিছু বিবেচনায় নেন।

সম্মিলিতভাবে আবহাওয়ার ওই সব কটি অবস্থা মিলিয়ে একটি সূচক তৈরি করেন, যার নাম দেওয়া হয় ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ তাপমাত্রা। একজন মানুষের ওপর ওই তাপ কতটুকু পড়ছে এবং তাঁরা কীভাবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা বোঝার জন্য সূচকটির ব্যবহার শুরু করেন তারা।

পরবর্তী সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে যাওয়া এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের নির্মাণশ্রমিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপরে এর প্রভাবের বিষয়টি সামনে আসে। অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও ওই উষ্ণ আবহাওয়ার বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। দেশগুলোর আবহাওয়া বিভাগ থেকে এ তাপমাত্রার বিষয়টিকে আলাদাভাবে পূর্বাভাস ও পর্যবেক্ষণে নিয়ে আসা হয়।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় ওই অতি উষ্ণ তাপমাত্রার ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা হয়।

আমরা এত দিন বাংলাদেশে দুর্যোগ বলতে বেশি আলোচনা করতাম ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা নিয়ে। ফলে আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সব প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ওই দুটি দুর্যোগকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। কিন্তু বজ্রপাতের মতোই গ্রীষ্মকালীন অতিরিক্ত উষ্ণতা আমাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগে (স্লো অনসেট ডিজাস্টার) পরিণত হতে যাচ্ছে। আমরা শুধু শহরের তাপমাত্রা নিয়ে বেশি চিন্তা করি। কিন্তু ঢাকার মতো বড় শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রামের কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীকে ওই গরমের মধ্যে জমিতে কাজ করতে হয়। ফলে তারাও ওই উষ্ণতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। আমাদের সামগ্রিকভাবে শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গ্রাম নিয়েও ভাবতে হবে।

গত মার্চে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী সাসটেইনেবল সিটিস অ্যান্ড সোসাইটিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীরা কী পরিমাণে তাপের চাপে আছেন এবং এর সময় ও এলাকাভিত্তিক প্রভাব নিয়ে ‘স্পেসোটেমপোরাল চেঞ্জেস ইন পপুলেশন এক্সপোজার টু হিট স্ট্রেস ইন সাউথ এশিয়া’ শিরোনামে গবেষণাটি করা হয়।

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক শামসুদ্দিন শহিদ ও আং কাইয়ো কাইয়ো, মিসরের আরব একাডেমি অব সায়েন্সের গবেষক মোহাম্মদ মাগদি হামিদ ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নতুন করে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের তাপমাত্রা বাড়ছে। গোটা বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও তাপের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।