মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিদেশিরা

  • Update Time : ১২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / 132

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।

সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে আবারও চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের ঢল নামে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

পিছিয়ে ছিলেন না বিদেশিরাও। বাঙালি সাজগোজে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ফ্রান্সের নাগরিক জনসন বলেন, শুভ নববর্ষ, ধন্যবাদ বাংলাদেশ। অনেক ইনজয় করছি। খুব ভালো লাগছে।

এর আগে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয় পুরো এলাকা।

মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বরিষ ধরার মাঝে শান্তির বারি’ গানটি।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।

গত তিন দশক ধরে প্রতি বছরই পয়লা বৈশাখে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এই শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কূপমণ্ডূকতা ও সংকীর্ণতার ঘৃণ্য অবয়বের ওপর সাংস্কৃতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিদেশিরা

Update Time : ১২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।

সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে আবারও চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের ঢল নামে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

পিছিয়ে ছিলেন না বিদেশিরাও। বাঙালি সাজগোজে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ফ্রান্সের নাগরিক জনসন বলেন, শুভ নববর্ষ, ধন্যবাদ বাংলাদেশ। অনেক ইনজয় করছি। খুব ভালো লাগছে।

এর আগে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয় পুরো এলাকা।

মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বরিষ ধরার মাঝে শান্তির বারি’ গানটি।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।

গত তিন দশক ধরে প্রতি বছরই পয়লা বৈশাখে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এই শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কূপমণ্ডূকতা ও সংকীর্ণতার ঘৃণ্য অবয়বের ওপর সাংস্কৃতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।