আগুনে পুড়ে ছাই বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলোও

  • Update Time : ১০:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / 136

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আগুনে পুড়ে শুধু ছাই হয়নি বঙ্গবাজার; পুড়ে ছাই হাজারো মানুষের বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলোও। তিল তিল করে নিজেদের গড়ে তোলা ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে হয়েছেন রিক্ত-নিঃস্ব। ভস্মীভূত ধ্বংসস্তূপে শেষ সম্বল খুঁজে ফিরছেন এসব ব্যবসায়ীরা।

ব্যাংক থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ আর গ্রামের জমি বিক্রি করে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে বঙ্গবাজার মার্কেটে চারটি দোকানের পজিশন কিনে ব্যবসা শুরু করেন এই ব্যবসায়ী।

খুঁজছেন ক্যাশবক্সে রেখে যাওয়া ৩ লাখ টাকা। ধ্বংসস্তূপ থেকে বাক্সটি পেয়েছেন ঠিকই। তবে, মিলেছে শুধু ধ্বংসাবশেষ।

এই ব্যবসায়ী জানান, অন্য মার্কেটে একটি দোকান ছিল সেটি বিক্রি করে ৭৫ লাখ টাকা এখানে বিনিয়োগ করি। এছাড়া ব্রাক থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মাল ঢুকিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেছে, কিছুই বের করতে পারিনি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামালের মতো অনেকেই আগুন নেভার পর ছুটে আসেন ক্যাশবক্সে রাখা টাকার সন্ধানে। তবে, নিরাশ হয়ে ফিরেছেন সবাই।

ব্যবসায়ী জামাল বলেন, “ঘটনার দিন অন্যান্য কারখানা থেকে মাল আসার কথা ছিল। এর আগের দিন সাড়ে ৩ দিন লাখ টাকার মাল ঢুকে। প্রত্যেক দিনই মাল আসতো। আজ কিছু আমাদের নেই, সবাই নিঃস্ব। কিছুই করতে পারিনি। নিজের কর্মস্থল চোখের সামনে পুড়ে যেতে দেখলাম।”

ভয়াবহ মানবেতর অবস্থায় বড় ব্যবসায়ীরাও। ভয়াল এক আগুন সব শেষ করে দিয়েছে তাদের।

জমিজমা কিংবা স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যারা ব্যবসা করছিলেন, দিশেহারা-উদ্ভ্রান্ত তারা সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে।

দোকান মালিক সমিতি বলছে, আগুনে পুড়েছে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার দোকান আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আগুনে পুড়ে ছাই বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলোও

Update Time : ১০:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আগুনে পুড়ে শুধু ছাই হয়নি বঙ্গবাজার; পুড়ে ছাই হাজারো মানুষের বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলোও। তিল তিল করে নিজেদের গড়ে তোলা ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে হয়েছেন রিক্ত-নিঃস্ব। ভস্মীভূত ধ্বংসস্তূপে শেষ সম্বল খুঁজে ফিরছেন এসব ব্যবসায়ীরা।

ব্যাংক থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ আর গ্রামের জমি বিক্রি করে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে বঙ্গবাজার মার্কেটে চারটি দোকানের পজিশন কিনে ব্যবসা শুরু করেন এই ব্যবসায়ী।

খুঁজছেন ক্যাশবক্সে রেখে যাওয়া ৩ লাখ টাকা। ধ্বংসস্তূপ থেকে বাক্সটি পেয়েছেন ঠিকই। তবে, মিলেছে শুধু ধ্বংসাবশেষ।

এই ব্যবসায়ী জানান, অন্য মার্কেটে একটি দোকান ছিল সেটি বিক্রি করে ৭৫ লাখ টাকা এখানে বিনিয়োগ করি। এছাড়া ব্রাক থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মাল ঢুকিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেছে, কিছুই বের করতে পারিনি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামালের মতো অনেকেই আগুন নেভার পর ছুটে আসেন ক্যাশবক্সে রাখা টাকার সন্ধানে। তবে, নিরাশ হয়ে ফিরেছেন সবাই।

ব্যবসায়ী জামাল বলেন, “ঘটনার দিন অন্যান্য কারখানা থেকে মাল আসার কথা ছিল। এর আগের দিন সাড়ে ৩ দিন লাখ টাকার মাল ঢুকে। প্রত্যেক দিনই মাল আসতো। আজ কিছু আমাদের নেই, সবাই নিঃস্ব। কিছুই করতে পারিনি। নিজের কর্মস্থল চোখের সামনে পুড়ে যেতে দেখলাম।”

ভয়াবহ মানবেতর অবস্থায় বড় ব্যবসায়ীরাও। ভয়াল এক আগুন সব শেষ করে দিয়েছে তাদের।

জমিজমা কিংবা স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যারা ব্যবসা করছিলেন, দিশেহারা-উদ্ভ্রান্ত তারা সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে।

দোকান মালিক সমিতি বলছে, আগুনে পুড়েছে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার দোকান আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।