দুঃখী মানুষের মুখের হাসিই বড় প্রাপ্তি: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • / 134

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়নে পুনর্বাসিত প্রতিটি পরিবারকে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ বাদ পড়লে তালিকাভুক্ত করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থারও নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

আশ্রয়ন উদ্যোগের চতুর্থ দফায় ভূমির দলিলসহ ঘরের মালিকানা পেয়েছে ৩৯ হাজার ৩৬৫ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। বরিশাল, সিলেট এবং গাজীপুরে বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার গণভবন থেকে ৩ জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভূমিহীনদের ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দুঃখী মানুষের মুখের হাসিই বড় প্রাপ্তি, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মাটি ও মানুষের সেই সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯১-এর ঘূর্ণিঝড় আসার সময় যে ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সাড়া বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, আমি প্রথমে ফোন পাই। আওয়ামী লীগ প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ এবং পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না তিনি। আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এতো বড় ক্ষতি হয়ে গেছে তাও তারা জানতেন না।’

একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না: এ ঘোষণা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।’

আশ্রয়নে বহুমূখী উপার্জনের পথ তৈরি হয়েছে, যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় ১৫৯ উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দুঃখী মানুষের মুখের হাসিই বড় প্রাপ্তি: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়নে পুনর্বাসিত প্রতিটি পরিবারকে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ বাদ পড়লে তালিকাভুক্ত করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থারও নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

আশ্রয়ন উদ্যোগের চতুর্থ দফায় ভূমির দলিলসহ ঘরের মালিকানা পেয়েছে ৩৯ হাজার ৩৬৫ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। বরিশাল, সিলেট এবং গাজীপুরে বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার গণভবন থেকে ৩ জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভূমিহীনদের ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দুঃখী মানুষের মুখের হাসিই বড় প্রাপ্তি, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মাটি ও মানুষের সেই সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯১-এর ঘূর্ণিঝড় আসার সময় যে ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সাড়া বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, আমি প্রথমে ফোন পাই। আওয়ামী লীগ প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ এবং পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না তিনি। আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এতো বড় ক্ষতি হয়ে গেছে তাও তারা জানতেন না।’

একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না: এ ঘোষণা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।’

আশ্রয়নে বহুমূখী উপার্জনের পথ তৈরি হয়েছে, যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় ১৫৯ উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।