বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ

  • Update Time : ১২:১১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / 119

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস আজ। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।

দিবসটির ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তাদের চারটি অধিকার বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হল- নিরাপত্তার অধিকার, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। দিনটি ছিল ১৫ মার্চ, ১৯৬২।

১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও ৮টি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৫ মার্চকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির যোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। জাতীয় সমৃদ্ধি, ভোক্তা অধিকার রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভেজাল ও মজুতদারি প্রতিরোধ, বাজার ব্যবস্থার সার্বিক তদারকির পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ জ্বালানির বিপণন ও বাজার ব্যবস্থাপনায়ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

সকল ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের প্রত্যেককেই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, আমাদের সরকার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন ও আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে। অধিদপ্তরটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ নকল ও ভেজাল রোধে অধিদপ্তর নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে। (বাসস

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ

Update Time : ১২:১১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস আজ। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।

দিবসটির ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তাদের চারটি অধিকার বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হল- নিরাপত্তার অধিকার, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। দিনটি ছিল ১৫ মার্চ, ১৯৬২।

১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও ৮টি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৫ মার্চকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির যোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। জাতীয় সমৃদ্ধি, ভোক্তা অধিকার রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভেজাল ও মজুতদারি প্রতিরোধ, বাজার ব্যবস্থার সার্বিক তদারকির পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ জ্বালানির বিপণন ও বাজার ব্যবস্থাপনায়ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

সকল ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের প্রত্যেককেই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, আমাদের সরকার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন ও আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে। অধিদপ্তরটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ নকল ও ভেজাল রোধে অধিদপ্তর নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে। (বাসস