বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০১:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / 127

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সূবর্ণ জয়ন্তী এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারনের লক্ষে তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ এর উদ্বোধন করেন।

পররাষ্ট মন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভূটান, সংযুক্ত আরব আমীরাতসহ ৭টি দেশের মন্ত্রী এবং ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ২শ’র বেশি বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড.মজিদ বিন আবদুল্লা আলকুস্সাইবি, ভূটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কার্মা দর্জি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক অ্যাম্বাসেডর ঝিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান অনুষ্টানে বক্তৃতা করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার অংশ হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের ৫০তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির যে ভিত্তি তৈরি হয়েছে তার সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, ব্যবসা সম্প্রসারন ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা যথেষ্ট অর্থ দিয়ে সম্মেলনে নিবন্ধন করেন।

ওয়ালমার্ট, জারা’র মত কোম্পানিগুলো কলকাতায় চলে এসেছে। এখন তাদের বাংলাদেশে আসার সময় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকাল কনজ্যুমার মার্কেটও সম্প্রসারিত হচ্ছে।

দেশে এখন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দৃশ্যমান। আমাদের এসব সক্ষমতা তুলে ধরা দরকার। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রায় সাড়ে সাতশ’ লোক ইতোমধ্যে সম্মেলনে নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া নিবন্ধন ছাড়া বিপুল সংখ্যক লোক সম্মেলনে যোগ দিবেন।- বাসস

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০১:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সূবর্ণ জয়ন্তী এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারনের লক্ষে তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ এর উদ্বোধন করেন।

পররাষ্ট মন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভূটান, সংযুক্ত আরব আমীরাতসহ ৭টি দেশের মন্ত্রী এবং ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ২শ’র বেশি বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড.মজিদ বিন আবদুল্লা আলকুস্সাইবি, ভূটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কার্মা দর্জি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক অ্যাম্বাসেডর ঝিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান অনুষ্টানে বক্তৃতা করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার অংশ হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের ৫০তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির যে ভিত্তি তৈরি হয়েছে তার সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, ব্যবসা সম্প্রসারন ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা যথেষ্ট অর্থ দিয়ে সম্মেলনে নিবন্ধন করেন।

ওয়ালমার্ট, জারা’র মত কোম্পানিগুলো কলকাতায় চলে এসেছে। এখন তাদের বাংলাদেশে আসার সময় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকাল কনজ্যুমার মার্কেটও সম্প্রসারিত হচ্ছে।

দেশে এখন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দৃশ্যমান। আমাদের এসব সক্ষমতা তুলে ধরা দরকার। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রায় সাড়ে সাতশ’ লোক ইতোমধ্যে সম্মেলনে নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া নিবন্ধন ছাড়া বিপুল সংখ্যক লোক সম্মেলনে যোগ দিবেন।- বাসস