৩ মার্চ: ‘আমার সোনার বাংলা’ হয় জাতীয় সংগী

  • Update Time : ১১:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / 123

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে জাতি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় তুলে ধরে। এর আগেই বাংলা সাহিত্য কবিতা গান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা গানটি স্বাধীনতার আগেই মুক্তির প্রেরণা দেয়। আর জাতির পিতার আগ্রহে এ গান হয়ে উঠে জাতীয় সঙ্গীত।

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি…
বাংলার রূপে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন এ কবিতা। এর সাথে যুক্ত হয় গগন হরকরার বাউল সুর।

বাংলার প্রতি প্রেম আর আন্দোলনের শক্তি প্রকাশ পায় এ গানে। ৪৭ এর দেশ ভাগ থেকে শুরু করে ৭১ এ স্বাধীনতাযুদ্ধে এই গান মুক্তিকামী বাঙ্গালিকে দিয়েছিল অদম্য প্রাণশক্তি।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর কার্জন হলের সংবধর্না অনুষ্ঠানে আওমী লীগের তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের এই গান শোনানোর ব্যবস্থা করেন।

১৯৬১ সালে সাম্প্রদায়িকতার দেয়াল তুলে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ বাঙালি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিলে ‘আমার সোনার বাংলা’ পায় নতুন জীবন।

১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর বিশেষ ইচ্ছেয় শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন এ গান।

এরপর ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসভায় স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে গ্রহণের ঘোষণা আসে।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৩ মার্চ: ‘আমার সোনার বাংলা’ হয় জাতীয় সংগী

Update Time : ১১:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে জাতি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় তুলে ধরে। এর আগেই বাংলা সাহিত্য কবিতা গান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা গানটি স্বাধীনতার আগেই মুক্তির প্রেরণা দেয়। আর জাতির পিতার আগ্রহে এ গান হয়ে উঠে জাতীয় সঙ্গীত।

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি…
বাংলার রূপে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন এ কবিতা। এর সাথে যুক্ত হয় গগন হরকরার বাউল সুর।

বাংলার প্রতি প্রেম আর আন্দোলনের শক্তি প্রকাশ পায় এ গানে। ৪৭ এর দেশ ভাগ থেকে শুরু করে ৭১ এ স্বাধীনতাযুদ্ধে এই গান মুক্তিকামী বাঙ্গালিকে দিয়েছিল অদম্য প্রাণশক্তি।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর কার্জন হলের সংবধর্না অনুষ্ঠানে আওমী লীগের তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের এই গান শোনানোর ব্যবস্থা করেন।

১৯৬১ সালে সাম্প্রদায়িকতার দেয়াল তুলে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ বাঙালি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিলে ‘আমার সোনার বাংলা’ পায় নতুন জীবন।

১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর বিশেষ ইচ্ছেয় শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন এ গান।

এরপর ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসভায় স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে গ্রহণের ঘোষণা আসে।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।