উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ১২:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / 140

নিজস্ব প্রতিবেদক 

উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বৈশ্বিক মন্দায়ও দেশের উন্নয়ন অব্যহত রেখেছে সরকার।”

তিনি বলেন, “গবেষণার কারণেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা শুধু পরিকল্পনাই করছি না, সেটা বাস্তবায়নও করছি।”

প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় সংশ্লিষ্টদের ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, আমদানী ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করেই সরকার দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। শুধু রোজগারে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।

আরও দক্ষ বিজ্ঞানী তৈরিতে গবেষণায় জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি যার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই স্থাপন করে যান। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটির বেতবুনিয়াতে তিনি দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন।”

তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতা এদেশের মানুষের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। পঁচাত্তরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময়ে প্রাণ হারান আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য।”

আয়োজনে গবেষণা ও উদ্ভাবন সংশ্লিষ্ট ৪৭ জনকে ফেলোশিপ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের গবেষণায় আন্তরিক হবার তাগিদ দেন সরকার প্রধান।

১৪ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যহত রাখতে তরুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নেবার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

গবেষণালব্ধ প্রতিটি উদ্ভাবনের স্বত্ব সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১২:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক 

উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বৈশ্বিক মন্দায়ও দেশের উন্নয়ন অব্যহত রেখেছে সরকার।”

তিনি বলেন, “গবেষণার কারণেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা শুধু পরিকল্পনাই করছি না, সেটা বাস্তবায়নও করছি।”

প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় সংশ্লিষ্টদের ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, আমদানী ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করেই সরকার দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। শুধু রোজগারে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।

আরও দক্ষ বিজ্ঞানী তৈরিতে গবেষণায় জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি যার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই স্থাপন করে যান। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটির বেতবুনিয়াতে তিনি দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন।”

তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতা এদেশের মানুষের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। পঁচাত্তরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময়ে প্রাণ হারান আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য।”

আয়োজনে গবেষণা ও উদ্ভাবন সংশ্লিষ্ট ৪৭ জনকে ফেলোশিপ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের গবেষণায় আন্তরিক হবার তাগিদ দেন সরকার প্রধান।

১৪ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যহত রাখতে তরুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নেবার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

গবেষণালব্ধ প্রতিটি উদ্ভাবনের স্বত্ব সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।