বাংলাদেশের ওপর আর যেন কালো থাবা না পড়ে: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০২:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 191

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে, সেদিকে সবার সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে, এটাই আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করবে, রিকশা চালাবে, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় থাকতে সেটা হবে না। আমরা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর করে দিচ্ছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের কাছে ভাতা পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা চাই, বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবার যেন মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, জানি না বিশ্বের অন্য কেউ এমনটি করেছে কি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল, যখন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া কঠিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলেছে। আমরা এসে তাদের মর্যাদা দিয়েছি। আমরা চাই, যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছেন, তারা যে দলেরই হোক না কেন, মর্যাদা পাক।

তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমরা এরইমধ্যে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো।

Please Share This Post in Your Social Media


বাংলাদেশের ওপর আর যেন কালো থাবা না পড়ে: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০২:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে, সেদিকে সবার সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে, এটাই আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করবে, রিকশা চালাবে, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় থাকতে সেটা হবে না। আমরা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর করে দিচ্ছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের কাছে ভাতা পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা চাই, বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবার যেন মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, জানি না বিশ্বের অন্য কেউ এমনটি করেছে কি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল, যখন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া কঠিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলেছে। আমরা এসে তাদের মর্যাদা দিয়েছি। আমরা চাই, যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছেন, তারা যে দলেরই হোক না কেন, মর্যাদা পাক।

তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমরা এরইমধ্যে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো।