রাণীনগরে নিয়ম ভঙ্গ করে নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ

  • Update Time : ০৭:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 134

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে নিয়ম ভঙ্গ করে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নলকূপ স্থাপন বন্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। এতে রাতারাতি নলকূপ স্থাপনের কাজ করার অভিযোগও করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের রাতোয়াল গ্রামে।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে উপজেলার রাতোয়াল মৌজায় ৩৯ দাগে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে ফসলি জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন রাতোয়াল গ্রামের রফিকুল ইসলাম। এরই মধ্যে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তার স্ত্রীর নামে একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র নেয়। ঘটনাটি জানতে পেরে রফিকুলের নলকূপের এরিয়ার মধ্যে পড়ায় ওই ছাড়পত্রের সংযোগ বন্ধ করতে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন রফিকুল। এরপর দায়ের করা অভিযোগের কোন কাজ না হওয়ায় গত বছরের আগষ্ট মাসে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। তারপরেও কাজ চালু করার হুমকি দিলে এবং চেষ্টা করলে গত ডিসেম্বর মাসে নলকূপের কার্যক্রম, বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, সৌর বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ বন্ধ করতে আবারও আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার আবেদন করেন কৃষক রফিকুল। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাণীনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন এবং তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় রাণীনগর থানা পুলিশ ওই স্থানে শান্তি বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করলেও আদালতকে অমান্য করে আব্দুর রাজ্জাক রাতের অন্ধকারে নলকূপ স্থাপনের কাজ করছেন।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশও রাজ্জাক মানছে না। নিয়ম ভঙ্গ করে আমার নলকূপের এরিয়ার মধ্যে গত কয়েকদিন থেকে রাতের অন্ধকারে নলকূপ স্থাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই স্থানে নলকূপ স্থাপন করলে আমি চরম ক্ষতির মূখে পরবো বলেও জানান তিনি।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই জায়গায় আমার ৩৮ বিঘা জমি রয়েছে। বহু বছর আগে থেকেই সেখানে শ্যালোমেশিন দিয়ে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। গত ২০১৮ সালে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করে ছাড়পত্র নিয়েছি। আপাতত সৌর প্যানেল স্থাপন করেছি। এছাড়া সেচ নিতিমালা অনুসরণ করেই আমি রফিকুলের এরিয়ার বাহিরে নলকূপ স্থাপন করেছি। সে আমাকে হয়রানি করতেই আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, নলকূপ স্থাপন নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদালতের নির্দেশে শুক্রবার নোটিশ জারি করেছি। এরপরেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীনগরে নিয়ম ভঙ্গ করে নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ

Update Time : ০৭:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে নিয়ম ভঙ্গ করে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নলকূপ স্থাপন বন্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। এতে রাতারাতি নলকূপ স্থাপনের কাজ করার অভিযোগও করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের রাতোয়াল গ্রামে।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে উপজেলার রাতোয়াল মৌজায় ৩৯ দাগে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে ফসলি জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন রাতোয়াল গ্রামের রফিকুল ইসলাম। এরই মধ্যে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তার স্ত্রীর নামে একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র নেয়। ঘটনাটি জানতে পেরে রফিকুলের নলকূপের এরিয়ার মধ্যে পড়ায় ওই ছাড়পত্রের সংযোগ বন্ধ করতে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন রফিকুল। এরপর দায়ের করা অভিযোগের কোন কাজ না হওয়ায় গত বছরের আগষ্ট মাসে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। তারপরেও কাজ চালু করার হুমকি দিলে এবং চেষ্টা করলে গত ডিসেম্বর মাসে নলকূপের কার্যক্রম, বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, সৌর বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ বন্ধ করতে আবারও আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারার আবেদন করেন কৃষক রফিকুল। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাণীনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন এবং তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় রাণীনগর থানা পুলিশ ওই স্থানে শান্তি বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করলেও আদালতকে অমান্য করে আব্দুর রাজ্জাক রাতের অন্ধকারে নলকূপ স্থাপনের কাজ করছেন।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশও রাজ্জাক মানছে না। নিয়ম ভঙ্গ করে আমার নলকূপের এরিয়ার মধ্যে গত কয়েকদিন থেকে রাতের অন্ধকারে নলকূপ স্থাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই স্থানে নলকূপ স্থাপন করলে আমি চরম ক্ষতির মূখে পরবো বলেও জানান তিনি।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই জায়গায় আমার ৩৮ বিঘা জমি রয়েছে। বহু বছর আগে থেকেই সেখানে শ্যালোমেশিন দিয়ে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। গত ২০১৮ সালে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করে ছাড়পত্র নিয়েছি। আপাতত সৌর প্যানেল স্থাপন করেছি। এছাড়া সেচ নিতিমালা অনুসরণ করেই আমি রফিকুলের এরিয়ার বাহিরে নলকূপ স্থাপন করেছি। সে আমাকে হয়রানি করতেই আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, নলকূপ স্থাপন নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদালতের নির্দেশে শুক্রবার নোটিশ জারি করেছি। এরপরেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।