খুরুশকুলে পাহাড়ের গহীনে পাহাড় কেটে নির্মাণ হচ্ছে ভবন, বন বিভাগ ও প্রশাসন নিরব

  • Update Time : ০১:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 195

কক্সবাজার প্রতিনিধি: 

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নেতৃত্বে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনিয়ম ও পরিবেশ রক্ষায় চলমান অভিযানে অনেকাংশে পাহাড় কাটা বন্ধ হলেও ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীনস্থ কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পাহাড় নিধন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার নিকটবর্তী ইউনিয়ন খুরুশকুলে কর্মরত ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকান্ডে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়নের বিস্তীর্ণ পাহাড়।
সরজমিনে দেখা যায়,খুরুশকুলে হাজার হাজার হেক্টর বনভূমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে অসাধুচক্রের হাতে,পাহাড়ি ভূমির মাটি কেটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, খুরুশকুলের বিট কর্মকর্তার কু-কর্মের কারণে পাহাড় খেকুরা পাহাড়ি বনভূমির মাটি কেটে বিক্রি করছে এবং সেই স্হানগুলোতে ছোট বড় অসংখ্য বসতি ও বহুতল পাকা বাড়ি ঘর নির্মাণ করছে কয়েকটি অসাধু চক্র।
তারা জানায়,খুরুশকুল বিট কর্মকর্তা তার নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছোট-বড় স্থাপনা ও ভবন নির্মাণকারীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা গ্রহন করে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করে আসছে।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে খুরুশকুল ঘোনারপাড়া বাজারস্থ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,বাজারের উত্তর-পূর্ব পাশের পাহাড়ের উপরে খুরুশকুল মৌজার ৩ নং সিটের ১নং খতিয়ানের ৪৪৮১ নং দাগের জায়গায় পাহাড়ের উপর পাহাড় কেটে নির্মান করছে বহুতল ভবন।
উচু পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে চারতলার ফাউন্ডেশনে ২২’শ স্কয়ার ফিটের বিশাল বাড়ি নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বর ইউনিয়নের মৃত আসাফ উদ্দিন এর ছেলে নুর আহাম্মদ ।
পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে নুর আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায়, স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ও আরও যাদের জানানো দরকার তাদের জানিয়েই তিনি বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছেন।
একই অবস্থা ঘোনাপাড়ার জুলু মিয়ার গুনা,বশর মেম্বারের গুনা,বনেরহাটা’র পাহাড়ী অঞ্চল সহ তেতৈয়া গুল্লার বাপের পাড়ার পাহাড়ি অংশের অধিকাংশ এলাকা।
সচেতন মহলের দাবি, অনতিবিলম্বে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পশু পাখির অভয়াঅরণ্য পাহাড়ি বনভূমি ভূমিদস্যদের কবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে স্থানীয়দের।
তাই তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই অনিয়ম আর ভূমিদস্যতার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই।
এই বিষয়ে বিট কর্মকর্তা মাসুম মাতব্বর মানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


খুরুশকুলে পাহাড়ের গহীনে পাহাড় কেটে নির্মাণ হচ্ছে ভবন, বন বিভাগ ও প্রশাসন নিরব

Update Time : ০১:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি: 

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নেতৃত্বে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনিয়ম ও পরিবেশ রক্ষায় চলমান অভিযানে অনেকাংশে পাহাড় কাটা বন্ধ হলেও ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীনস্থ কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পাহাড় নিধন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার নিকটবর্তী ইউনিয়ন খুরুশকুলে কর্মরত ককসবাজার উত্তর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকান্ডে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়নের বিস্তীর্ণ পাহাড়।
সরজমিনে দেখা যায়,খুরুশকুলে হাজার হাজার হেক্টর বনভূমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে অসাধুচক্রের হাতে,পাহাড়ি ভূমির মাটি কেটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, খুরুশকুলের বিট কর্মকর্তার কু-কর্মের কারণে পাহাড় খেকুরা পাহাড়ি বনভূমির মাটি কেটে বিক্রি করছে এবং সেই স্হানগুলোতে ছোট বড় অসংখ্য বসতি ও বহুতল পাকা বাড়ি ঘর নির্মাণ করছে কয়েকটি অসাধু চক্র।
তারা জানায়,খুরুশকুল বিট কর্মকর্তা তার নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছোট-বড় স্থাপনা ও ভবন নির্মাণকারীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা গ্রহন করে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করে আসছে।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে খুরুশকুল ঘোনারপাড়া বাজারস্থ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,বাজারের উত্তর-পূর্ব পাশের পাহাড়ের উপরে খুরুশকুল মৌজার ৩ নং সিটের ১নং খতিয়ানের ৪৪৮১ নং দাগের জায়গায় পাহাড়ের উপর পাহাড় কেটে নির্মান করছে বহুতল ভবন।
উচু পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে চারতলার ফাউন্ডেশনে ২২’শ স্কয়ার ফিটের বিশাল বাড়ি নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বর ইউনিয়নের মৃত আসাফ উদ্দিন এর ছেলে নুর আহাম্মদ ।
পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে নুর আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায়, স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ও আরও যাদের জানানো দরকার তাদের জানিয়েই তিনি বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছেন।
একই অবস্থা ঘোনাপাড়ার জুলু মিয়ার গুনা,বশর মেম্বারের গুনা,বনেরহাটা’র পাহাড়ী অঞ্চল সহ তেতৈয়া গুল্লার বাপের পাড়ার পাহাড়ি অংশের অধিকাংশ এলাকা।
সচেতন মহলের দাবি, অনতিবিলম্বে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পশু পাখির অভয়াঅরণ্য পাহাড়ি বনভূমি ভূমিদস্যদের কবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে স্থানীয়দের।
তাই তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই অনিয়ম আর ভূমিদস্যতার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই।
এই বিষয়ে বিট কর্মকর্তা মাসুম মাতব্বর মানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।