হাড় কাঁপানো শীত, ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত

  • Update Time : ১২:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 186

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনায় এক সপ্তাহ ধরে হাড় কাঁপানো শীত পড়ছে। ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দা ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টা সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। জরুরি কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। রাস্তায় শ্রমজীবী-দিনমজুররা কাজের ফাঁকে ফাঁকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। উষ্ণতার খোঁজে অনেকে চায়ের দোকানের ভিড় করছেন। কাজ করতে না পারায় শ্রমিকদের আয় কমে গেছে।

কৃষি শ্রমিক, রঙমিস্ত্রি ও ভ্যানচালাকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে তারা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। কাজ করতেও পারছেন না। এতে তাদের আয় কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

কুমিরগাড়ী গ্রামের কৃষি শ্রমিক মহির উদ্দিন, নজির আলী জানান, তারা এত ঠান্ডায় কাজ করতে পারছেন না। এজন্য বাড়িতে আছেন। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

পাবনা শহরের রিকশাচালক হামিদ সেখ বলেন, মঙ্গলবার সারাদিনে মাত্র ১৫০টাকা আয় করছি। রাস্তাঘাটে যাত্রী না থাকায় এবং ঠান্ডায় টিকতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাই।

বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী ঘাটের শ্রমিক বন্দে আলী, কবির হোসেন জানান, ঘন কুয়াশায় ঘাটে জাহাজই আসতে পারছে না। এজন্য মালামাল লোড আনলোডের কাজ বন্ধ আছে। এতে তারা অলস সময় পার করছেন।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার চরপড়া গ্রামের নায়েব আলী, বামনডাঙ্গা গ্রামের চাষি জসিম উদ্দিন, পদ্মবিলা গ্রামের চাষি হাফিজুর রহমান, কুমিরগাড়ী গ্রামের চাষি আব্দুল বাতেন জানান, তাদের মাঠে এখন পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুম চলছে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিকরা মাঠে টিকতে পারছেন না।

রঙ মিস্ত্রিরা জানান, শুকনো মৌসুম তাদের কাজের চাপ থাকে বেশি। কিন্তু রোদ না থাকলে রঙ টানে না( শুকায় না)। তাই সূর্যের তাপ না থাকায় তাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রি কাছে ঘোরাফেরা করছে। বুধবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমেছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সোমবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media


হাড় কাঁপানো শীত, ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত

Update Time : ১২:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনায় এক সপ্তাহ ধরে হাড় কাঁপানো শীত পড়ছে। ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দা ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টা সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। জরুরি কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। রাস্তায় শ্রমজীবী-দিনমজুররা কাজের ফাঁকে ফাঁকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। উষ্ণতার খোঁজে অনেকে চায়ের দোকানের ভিড় করছেন। কাজ করতে না পারায় শ্রমিকদের আয় কমে গেছে।

কৃষি শ্রমিক, রঙমিস্ত্রি ও ভ্যানচালাকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে তারা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। কাজ করতেও পারছেন না। এতে তাদের আয় কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

কুমিরগাড়ী গ্রামের কৃষি শ্রমিক মহির উদ্দিন, নজির আলী জানান, তারা এত ঠান্ডায় কাজ করতে পারছেন না। এজন্য বাড়িতে আছেন। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

পাবনা শহরের রিকশাচালক হামিদ সেখ বলেন, মঙ্গলবার সারাদিনে মাত্র ১৫০টাকা আয় করছি। রাস্তাঘাটে যাত্রী না থাকায় এবং ঠান্ডায় টিকতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাই।

বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী ঘাটের শ্রমিক বন্দে আলী, কবির হোসেন জানান, ঘন কুয়াশায় ঘাটে জাহাজই আসতে পারছে না। এজন্য মালামাল লোড আনলোডের কাজ বন্ধ আছে। এতে তারা অলস সময় পার করছেন।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার চরপড়া গ্রামের নায়েব আলী, বামনডাঙ্গা গ্রামের চাষি জসিম উদ্দিন, পদ্মবিলা গ্রামের চাষি হাফিজুর রহমান, কুমিরগাড়ী গ্রামের চাষি আব্দুল বাতেন জানান, তাদের মাঠে এখন পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুম চলছে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিকরা মাঠে টিকতে পারছেন না।

রঙ মিস্ত্রিরা জানান, শুকনো মৌসুম তাদের কাজের চাপ থাকে বেশি। কিন্তু রোদ না থাকলে রঙ টানে না( শুকায় না)। তাই সূর্যের তাপ না থাকায় তাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রি কাছে ঘোরাফেরা করছে। বুধবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমেছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সোমবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে।