তেঁতুলিয়ায় হাড় কাঁপানো শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি রেকর্ড

  • Update Time : ০৪:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 173

পঞ্চগড় সংবাদদাতাঃ

হিমালয়ের কাছে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চপড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদের মানুষ।
গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় সারাদেশে মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের শেষ সময়ে তাপমাত্রা কমে আসায় শীতে নাকাল উত্তর জনপদের মানুষ।

জানা গেছে, উত্তরের হিমেল হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকাল গড়ালেই ঠাণ্ডা লাগতে শুরু করে।
এতে করে হাড়কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসছে শ্রমিকদের।
এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়।
শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ওসি রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।তিনি আরও জানান সামনে তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে নামতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


তেঁতুলিয়ায় হাড় কাঁপানো শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি রেকর্ড

Update Time : ০৪:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

পঞ্চগড় সংবাদদাতাঃ

হিমালয়ের কাছে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চপড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদের মানুষ।
গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় সারাদেশে মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের শেষ সময়ে তাপমাত্রা কমে আসায় শীতে নাকাল উত্তর জনপদের মানুষ।

জানা গেছে, উত্তরের হিমেল হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকাল গড়ালেই ঠাণ্ডা লাগতে শুরু করে।
এতে করে হাড়কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসছে শ্রমিকদের।
এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়।
শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ওসি রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।তিনি আরও জানান সামনে তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে নামতে পারে।