আমনে ২৭২ উপজেলায় অ্যাপে ধান কিনবে সরকার, ১৩ নির্দেশনা

  • Update Time : ১১:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • / 186

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি আমন মৌসুমে ‘কৃষকের অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান কিনবে সরকার। এজন্য মাঠপর্যায়ে খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

সম্প্রতি ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে পাঁচ লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন ধান কিনবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ৪২ ও ধান ২৮ টাকা দরে কেনা হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, আমন ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই অ্যাপে নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

এসময়ের মধ্যে নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের জন্য কৃষকদের স্থানীয় পর্যায়ে জানাতে বলেছে খাদ্য অধিদপ্তর। এজন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

১. নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে ‘কৃষকের অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

২. প্রশিক্ষণ শিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgfood.gov.bd নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’-এর ‘গাইড লাইন-কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

৪. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা লিফলেট ও তৈরি করা অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে।

৫. ওয়েবসাইট থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।

৬. এসব লিফলেট জনসমাগম স্থান যেমন মসজিদ, মন্দির, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে।

৭. এছাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এসব লিফলেট।

৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুত করা লিফলেট বিতরণ করতে হবে।

৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করা করতে হবে।

১০. প্রস্তুত করা লিফলেট জেলা-উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার-লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে।

১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের জানাতে হবে।

১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আমনে ২৭২ উপজেলায় অ্যাপে ধান কিনবে সরকার, ১৩ নির্দেশনা

Update Time : ১১:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি আমন মৌসুমে ‘কৃষকের অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান কিনবে সরকার। এজন্য মাঠপর্যায়ে খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

সম্প্রতি ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে পাঁচ লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন ধান কিনবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ৪২ ও ধান ২৮ টাকা দরে কেনা হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, আমন ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই অ্যাপে নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

এসময়ের মধ্যে নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের জন্য কৃষকদের স্থানীয় পর্যায়ে জানাতে বলেছে খাদ্য অধিদপ্তর। এজন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

১. নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে ‘কৃষকের অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

২. প্রশিক্ষণ শিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgfood.gov.bd নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’-এর ‘গাইড লাইন-কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

৪. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা লিফলেট ও তৈরি করা অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে।

৫. ওয়েবসাইট থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।

৬. এসব লিফলেট জনসমাগম স্থান যেমন মসজিদ, মন্দির, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে।

৭. এছাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এসব লিফলেট।

৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুত করা লিফলেট বিতরণ করতে হবে।

৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করা করতে হবে।

১০. প্রস্তুত করা লিফলেট জেলা-উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার-লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে।

১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের জানাতে হবে।

১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।