জজ মিয়াকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল জারি

  • Update Time : ১১:৩১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • / 221

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগের ঘটনায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব।

এর আগে গত ১১ আগস্ট ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগের ঘটনায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি নোটিশ পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ আটজনকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ কাওসার এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ জড়িতদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণ আদায় করতে বলা হয়।

তবে সে নোটিশের কোন জবাব না পাওয়ায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগের ঘটনায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশণা চেয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জজ মিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব রিটটি দায়ের করেন।

রিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দিতে বলা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জজ মিয়াকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল জারি

Update Time : ১১:৩১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগের ঘটনায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব।

এর আগে গত ১১ আগস্ট ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগের ঘটনায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি নোটিশ পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ আটজনকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ কাওসার এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ জড়িতদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণ আদায় করতে বলা হয়।

তবে সে নোটিশের কোন জবাব না পাওয়ায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাভোগের ঘটনায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশণা চেয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জজ মিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব রিটটি দায়ের করেন।

রিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দিতে বলা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে রিটে বিবাদী করা হয়।