কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
- Update Time : ০২:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
- / 178
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো ব্যবসায়ী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তার মতে, জ্বালানি তেলের বাড়তি দামের কারণে যে হারে পণ্যের দাম বেড়েছে, তা হওয়ার কথা না।
শোকের মাস উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিতরণ বিষয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব পরিবারের অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধা ভোগ করবে।
“প্রতি পরিবারে ধরা হয়েছে পাঁচজন করে। তার মানে পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আগে ট্রাকে করে পণ্য দেয়া হতো তখনও রিপোর্ট হতো পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে ক্রেতারা। পারমানেন্ট সলিউশন করতে এক কোটি পরিবারকে কার্ড দেবার উদ্যোগ নেয়া হয়।”
মানুষের কিছুটা কষ্ট লাঘবের জন্য এই উদ্যোগ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় এই কার্যক্রম চালাতে হবে। যদিও এটাতে অনেক সাবসিডি দিতে হচ্ছে সরকারকে। টিসিবি বিদেশ থেকে এনে পণ্য দেয়ার পরিকল্পনা করছে। কারো কাছে জিম্মি হতে চাই না। এখন আর ট্রাক সেল হবে না। টিসিবির যে ডিলার, সেসব দোকানে পাওয়া যাবে পণ্য।”
এক কোটি পরিবারের তালিকার প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই লিস্ট করেনি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। টিআইবি ১ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৪০ জন মানুষের উপর জরিপ করেছে। প্রথম দিকে যেসব মানুষ বাদ পড়েছে তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নাম ঢোকানোর ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে এটা অস্বীকার করি না। কারণ আমাদের দেশে সব কিছু জাজ করা সম্ভব না।”
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে সারা দেশে এক কোটি পরিবারের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি, সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি টিআইবির এক প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, টিআইবি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
“নানা জটিলতার কারণে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিতরণে কিছুটা অনিয়ম হতে পারে; কিন্তু টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়। এ কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে পণ্য বিতরণে সমস্যা হতে পারে; বাকি ৯৫ ভাগ মানুষ তালিকা অনুসারে সঠিক পদ্ধতিতে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য পেয়েছেন।”
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে একদিকে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে; অন্যদিকে ডলারের মূল্য বাড়ছে। এ দুটি বিষয় সমন্বয় করেই ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে।”