নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষকের প্রতিবাদ

  • Update Time : ০৫:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / 170

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

সম্প্রতি শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আসা নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে একাই প্রতিবাদ করলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল-ইসলাম।

বুধবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। পর্যালোচনা এবং গবেষণা না করে এরকম তাড়াহুড়ো করে একটা সিদ্ধান্ত কখনো জাতির মঙ্গল নিয়ে আসে না। তাছাড়া করোনা পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে অনেক হতাশা কাজ করছে। সেক্ষেত্রে নতুন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে না এবং অনেক শিক্ষার্থী আবার ঝরে যাবে।

এছাড়াও নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একই পাঠ্যক্রম হলে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ বাড়বে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় পড়তে পারবে না। সাইন্স, আর্টস এবং কমার্সের বিষয়গুলো সবাইকে পড়তে হবে। ফলে বিষয়গুলোর উপর শিক্ষার্থীদের ব্যাসিক নলেজ বাড়বে না। তাছাড়া উচ্চমাধ্যমিকে দুইটি বোর্ড পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে নকলের প্রবণতা বৃদ্ধি করবে।

প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল-ইসলাম বলেন, পর্যালোচনা এবং গবেষণা না করে যদি নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করে তাহলে জেএসসি এবং পিএসসির মত আবার বন্ধ করে দিতে হবে।যদি আরো সতর্ক হয়ে সময় নিয়ে এবং তাড়াহুড়ো না করে একটি জাতির ভবিষ্যত নিয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে জাতি উপকৃত হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষকের প্রতিবাদ

Update Time : ০৫:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

সম্প্রতি শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আসা নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে একাই প্রতিবাদ করলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল-ইসলাম।

বুধবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। পর্যালোচনা এবং গবেষণা না করে এরকম তাড়াহুড়ো করে একটা সিদ্ধান্ত কখনো জাতির মঙ্গল নিয়ে আসে না। তাছাড়া করোনা পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে অনেক হতাশা কাজ করছে। সেক্ষেত্রে নতুন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে না এবং অনেক শিক্ষার্থী আবার ঝরে যাবে।

এছাড়াও নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একই পাঠ্যক্রম হলে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ বাড়বে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় পড়তে পারবে না। সাইন্স, আর্টস এবং কমার্সের বিষয়গুলো সবাইকে পড়তে হবে। ফলে বিষয়গুলোর উপর শিক্ষার্থীদের ব্যাসিক নলেজ বাড়বে না। তাছাড়া উচ্চমাধ্যমিকে দুইটি বোর্ড পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে নকলের প্রবণতা বৃদ্ধি করবে।

প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল-ইসলাম বলেন, পর্যালোচনা এবং গবেষণা না করে যদি নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করে তাহলে জেএসসি এবং পিএসসির মত আবার বন্ধ করে দিতে হবে।যদি আরো সতর্ক হয়ে সময় নিয়ে এবং তাড়াহুড়ো না করে একটি জাতির ভবিষ্যত নিয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে জাতি উপকৃত হবে।