পেঁয়াজেই শুধু নয়, ঝাঁঝ এখন বেশিরভাগ পণ্যে

  • Update Time : ০৩:২১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
  • / 171

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আবারো বাড়লো পেঁয়াজ, রসুন, আটা, ময়দা ও সব ধরনের ডালের দাম। সরবরাহ কম থাকাকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে চড়া বাজারে নাভি:শ্বাস অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।

ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২-৪৮ টাকায় ঠেকেছে।

আমদানি কম বলেই দাম একটু বেশি বলে দাবি বিক্রেতাদের। দাম বাড়তেই থাকায় চরম কষ্টে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনেও সামাল দিতে পারছেন না মধ্যবিত্তরা।

কেজিপ্রতি দেশি রসুন ১শ টাকা ও চায়না রসুন ১৮০ টাকা ওঠায় চলে গেছে অনেকের নাগালের বাইরে।

গম আমদানি কমে যাওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আটা-ময়দার দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১২ টাকা বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা।

ডালের বাজারেও অস্থিরতা। গেল সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের ডালে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
আগের সপ্তাহের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব ধরনের পণ্যও।

নিম্নবিত্তের শেষ ভরসা সবজি আর ব্রয়লার মুরগি। সেই দুটোর বাজারও ঊর্ধ্বমূখী। বেশ কয়েকটি সবজির দাম এখন কেজিতে একশর ঘর ছুঁই ছুঁই।

নতুন করে দাম না বাড়লেও বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

একজন ক্রেতা বলেন, “একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়ছে না।”

আরেক ক্রেতা বলেন, “চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটাসহ সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ কিভাবে সামাল দিব!”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পেঁয়াজেই শুধু নয়, ঝাঁঝ এখন বেশিরভাগ পণ্যে

Update Time : ০৩:২১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আবারো বাড়লো পেঁয়াজ, রসুন, আটা, ময়দা ও সব ধরনের ডালের দাম। সরবরাহ কম থাকাকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে চড়া বাজারে নাভি:শ্বাস অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।

ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২-৪৮ টাকায় ঠেকেছে।

আমদানি কম বলেই দাম একটু বেশি বলে দাবি বিক্রেতাদের। দাম বাড়তেই থাকায় চরম কষ্টে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনেও সামাল দিতে পারছেন না মধ্যবিত্তরা।

কেজিপ্রতি দেশি রসুন ১শ টাকা ও চায়না রসুন ১৮০ টাকা ওঠায় চলে গেছে অনেকের নাগালের বাইরে।

গম আমদানি কমে যাওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আটা-ময়দার দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১২ টাকা বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা।

ডালের বাজারেও অস্থিরতা। গেল সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের ডালে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
আগের সপ্তাহের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব ধরনের পণ্যও।

নিম্নবিত্তের শেষ ভরসা সবজি আর ব্রয়লার মুরগি। সেই দুটোর বাজারও ঊর্ধ্বমূখী। বেশ কয়েকটি সবজির দাম এখন কেজিতে একশর ঘর ছুঁই ছুঁই।

নতুন করে দাম না বাড়লেও বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

একজন ক্রেতা বলেন, “একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়ছে না।”

আরেক ক্রেতা বলেন, “চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটাসহ সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ কিভাবে সামাল দিব!”