ঢাবিতে আইন করে গেস্টরুম প্রথা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
- Update Time : ০৭:১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
- / 166
ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে আইন করে গেস্টরুম প্রথা বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ, বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানবববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান ইনাম, আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের শাহিনুর রহমান, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি প্রমুখ।
মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, গেস্টরুমে ম্যানার শেখানোর নামে বিভিন্ন ধরনের গালাগালি শেখানো হয়। লাইটের দিকে আধাঘণ্টা তাকিয়ে থাকতে বলা হয়। ফানি কথা বললেও সে হাসতে পারবে না। তাকে সালাম দেওয়ার ম্যানার শেখানো হয়। কিন্তু আমরা জানি কীভাবে সালাম দিতে হয়। আমরা জানি আমাদের বড় ভাইদের কীভাবে সম্মান করতে হয়। কিন্তু এই ম্যানার শেখানোর নামে আমাদের ওপর যে জুলুম করা হয় আমরা তার অবসান চাই। আমরা চাই গেস্টরুম কালচার চিরদিনের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে যাক। আমাদের বন্ধু আকতারুল ইসলামের ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে আমরা তার বিচার চাই।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, গেস্টরুমের নামে যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দাবি, গেস্টরুম কালচার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হোক। আমাদের সহপাঠী আকতারুল ইসলামের ওপর যারা নির্যাতন করেছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল ঘোষণা করা হোক।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ২০২০-২১ সেশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামের ওপর কথিত ‘গেস্টরুম’ কালচারের নামে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে একই হলের ৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে বিজয় ৭১ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি রাত তিনটার সময় হলে গিয়েছিলাম। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি, সাপোর্ট দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা আবাসিক শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম সানার নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সেই আলোকে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।