“করোনার উর্ধ্বগতির মধ্যেই বুটেক্সে স্বশরীরে পরীক্ষাঃ ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন”
- Update Time : ১২:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২
- / 160
বুটেক্স প্রতিনিধি:
করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনের সংক্রমণে নাস্তানাবুদ বিশ্ব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গত কয়েকদিনে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এরই মধ্যে সরকার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ এসেছে। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে ১০ জন।
করোনার এই উর্ধ্বগতির মধ্যেই আগামী ১১ ই জানুয়ারী থেকে স্বশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার দায় নিতে নারাজ বুটেক্স প্রশাসন। ইতোমধ্যে বুটেক্সের আবাসিক হলের অনেক শিক্ষার্থীর স্বর্দি-কাশি, জ্বরসহ করোনার উপসর্গ রয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হলে পরীক্ষা দিতে পারবে না এই ভয়ে করাচ্ছে না কোভিড টেস্ট। এরই প্রেক্ষিতে আজ সকালবেলা ৫ দফা দাবি নিয়ে বুটেক্স শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান।
স্বাস্থ্যঝুকি বিবেচনায় বুটেক্সের হলসমূহ বন্ধ করা, ৩ দিন থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, চলমান টার্ম পরীক্ষা থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন ক্লাস চালু, প্রশাসনের বিলম্বের কারণে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তার দায়ভার নেওয়াসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আজ বুটেক্স রেজিস্ট্রারের কাছে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বুটেক্স রেজিস্ট্রার “ড. শাহ আলীমুজ্জামান” শিক্ষার্থীদের বলেন, “বর্তমান রুটিন অনুযায়ী স্বশরীরেই হবে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেউ আক্রান্ত হলে তার দায়ভার তার নিজের, প্রশাসন কোনো দায়ভার গ্রহণ করবে না।”
রেজিস্ট্রারের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা বুটেক্সের সামনের মহাখালী-মগবাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এসময় তারা তাদের দাবিসমূহ লিখিত নোটিশ আকারে চান। এছাড়া অনেকে বুটেক্স রেজিস্ট্রারের পদত্যাগও দাবি করেন। এসময় ২ বার বুটেক্স রেজিস্ট্রার এসে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন, কিন্তু লিখিত নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে বুটেক্স উপাচার্য “প্রফেসর ড. আবুল কাশেম” শিক্ষার্থীদের হল বন্ধ ঘোষণা এবং অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে লিখিত নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরুদ্ধ রাখেন।
সবশেষ, আপাতত পরীক্ষা স্থগিত এবং আগামীকাল সকালে মিটিংয়ের ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে অনলাইন/অফলাইন পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে নোটিশ প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছেড়ে দেন।