রাবির আমীর আলী হলের রিডিং রুমের পাশে মাদকের আড্ডা; ব্যাহত পড়াশোনা

  • Update Time : ১০:০০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 268

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হলের রিডিং রুমের পাশে বিকেল হলেই নিয়মিত বসে মাদকের আড্ডা। ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বহিরাগতরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে মাদক গ্রহণের পাশাপাশি মেতে ওঠেন হাসি-ঠাট্টা ও হৈ-হুল্লোড়ে। এতে রিডিং রুমে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব অবস্থিত রিডিং রুমের পাশে বহিরাগতরা প্রায়ই বাইক নিয়ে আসে। মাদক সেবন করে এবং উচ্চ শব্দে হৈচৈ, হাসি-তামাশা করে। এতে করে রিডিং রুমে পড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। তাদের বেশ কয়েকবার অনুরোধ করে নিষেধ করা হলেও তারা কর্ণপাত করে নি। উল্টো দুর্ব্যবহার করে এবং চিল্লাচিল্লির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দ আমীর আলী হলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রিড়িং রুমের ঠিক নিচের ফাকা জায়গায় সেপ্টিটেংকির উপরে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম পড়ে আছে। সেখান থেকে একটু দূরে চার জন ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। তাদের বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা মেহেরচন্ডিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। আপনি যেহেতু বললেন আমি এই ব্যাপার খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাবির আমীর আলী হলের রিডিং রুমের পাশে মাদকের আড্ডা; ব্যাহত পড়াশোনা

Update Time : ১০:০০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হলের রিডিং রুমের পাশে বিকেল হলেই নিয়মিত বসে মাদকের আড্ডা। ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বহিরাগতরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে মাদক গ্রহণের পাশাপাশি মেতে ওঠেন হাসি-ঠাট্টা ও হৈ-হুল্লোড়ে। এতে রিডিং রুমে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব অবস্থিত রিডিং রুমের পাশে বহিরাগতরা প্রায়ই বাইক নিয়ে আসে। মাদক সেবন করে এবং উচ্চ শব্দে হৈচৈ, হাসি-তামাশা করে। এতে করে রিডিং রুমে পড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। তাদের বেশ কয়েকবার অনুরোধ করে নিষেধ করা হলেও তারা কর্ণপাত করে নি। উল্টো দুর্ব্যবহার করে এবং চিল্লাচিল্লির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দ আমীর আলী হলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রিড়িং রুমের ঠিক নিচের ফাকা জায়গায় সেপ্টিটেংকির উপরে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম পড়ে আছে। সেখান থেকে একটু দূরে চার জন ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। তাদের বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা মেহেরচন্ডিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। আপনি যেহেতু বললেন আমি এই ব্যাপার খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।