নবীনদের পদচারণায় মুখরিত রাবি ক্যাম্পাস
- Update Time : ১০:১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
- / 157
আসিফ আজাদ সিয়াম, রাবি প্রতিনিধি:
করোনার উর্ধ্বমূখী সংক্রমণের কারণে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নিস্তব্ধতার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। দীর্ঘদিনের সেই নিস্তব্ধতা ভেঙে ক্লাস শুরু হয়েছে কয়েক মাস হলো। এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভর্তিযুদ্ধ।সেই যুদ্ধ জয়ীদের নিয়ে অবশেষে ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে আজ। আর তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি অঙ্গণ।
ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে স্বপ্ন পূরণের রাস্তায় এসে তাদের চোখে-মুখে প্রস্ফুটিত হচ্ছে সাফল্যের মিষ্টি হাসি ও স্বপ্ন জয়ের অনাবিল আনন্দ। ক্যাম্পাসের প্রধান আড্ডাস্থলগুলোতে পুরনোদের পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন মুখ।
ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে আনন্দ-উল্লাস আর বন্ধু-বান্ধব ও অগ্রজদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করেছে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিতি পর্বের মধ্য দিয়েই সময় পার করছেন তারা। অনেকে আবার ঘুরে দেখছেন ৭৫৩ একরের মতিহারের এই বিশাল ক্যাম্পাস। স্কুল-কলেজের ধরাবাঁধা নিয়মের গণ্ডি পেরিয়ে এ নবীনরা যেন পেয়েছেন মুক্ত আকাশে উড়বার সুযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, আমতলা, প্যারিস রোড, জোহা চত্বর, শহীদ মিনার, চারুকলা, স্টেশন বাজারসহ ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় চোখে পড়ে নবাগতদের দলগত আড্ডা ও ঘুরাঘুরি। দেখে মনে হয় অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার পর উদ্দীষ্ট গন্তব্যে এসে যেন এক স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছেন এই তরুণরা। অনেকে প্রকাশ করেছেন তাদের কোমল-মিষ্টি অনুভূতি ও প্রাণচঞ্চলতা।
কথা হয় জোহা চত্বরে আড্ডারত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা বলেল, করোনা মহামারির অনিশ্চিত জীবনের পর আজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম ক্লাস। এ সত্যি এক অন্যরকম অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়ার কথায় প্রায় একই সুর লক্ষ করা যায়।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির পর আমারা আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পেরেছি। নানান অনিশ্চয়তা, প্রতিকূলতা পার করে আজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগছে। এই জন্য মহান আল্লাহ্ পাকের দরবারে শুকরিয়া। নতুন ও স্বপ্নের ক্যাম্পাসে এসে আমার এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে’।
ভর্তিযুদ্ধ পেরিয়ে এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। কয়েকটি বিভাগ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ। তবে বিভিন্ন বিভাগের কিছু আসন ফাকা থাকার কারণে ভর্তি কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে।