একজন মানবিক মন্ত্রীর উদাহরণ ডা. মুরাদ হাসান

  • Update Time : ০৬:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • / 396

২০ নভেম্বর ২০২১ শনিবার ভোর ৭টা। অন্যান্য দিন ঘুম থেকে একটু দেরিতে উঠলেও জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট সংলগ্ন কুমারপাড়ায় পূর্বনির্ধারিত জমি সংক্রান্ত একটি সালিশের জন্য সেদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হয় আমাকে। যথারীতি ফ্রেশ হয়ে সালিশের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

আধঘণ্টার মধ্যে আমি সেখানে পৌঁছে যাই। অনন্য লোকজন সালিশে উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় আমি একটু সময় পাই। হঠাৎ পাশের বাড়ির এক ভদ্রমহিলা আমার কাছে বললেন, “বাবাজি একটা মহিলার বাচ্চা হবে, গত দুইদিন ধরে ব্যথা শুরু হয়েছে। তুমি একটু সাহায্য করো। সিজার করতে হবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করতেছি অনেক টাকা দরকার। গর্ভবতী মহিলার স্বামীর টাও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে হয় পড়ে আছে। এক বৎসরের আরেকটি ছোট বাচ্চাও আছে।”

কথাগুলো শোনার পর আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরাসরি ওই গর্ভবতী মায়ের বাড়িতে উপস্থিত হই, সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম খুব সম্ভবত ১৯ থেকে ২০ বছর হবে স্বাস্থ্যহীন হাড্ডিসার একটি মহিলা প্রচন্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছে। একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম তিনি সেই গর্ভবতী মা, প্রসব যন্ত্রণা কাতরাচ্ছেন। চেহারাটা বেশ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। গর্ভে সন্তান হলে যে যত্নের প্রয়োজন তার বিন্দুমাত্র লেশ নেই। নরম সুরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কেমন আছেন, “উত্তরে তিনি জানালেন ভালো নেই। গত দু’দিন ধরে প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে আমার। পানিও ভাংতেছে। নির্দ্বিধায় একটু ভরসার আশায় আমাকে সব শোনালেন। আমি মনোযোগ দিয়ে সব শুনলাম। তিনি যে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর সেটিও ভালোভাবে অনুধাবন করলাম।

স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে এসেছে অনেকদিন হলো, বাবাটা দিনমজুর, দিন আনে দিন খায়। স্বামী জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকদিন হলো। কোনরকম খেয়ে পড়ে দিন পার হচ্ছে চরম কষ্ট দুর্দশায়। বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করে আমিও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি প্রায়। ভাবতেছি কি করা যায় কি করব। কাছে যত টাকা আছে এগুলো দিলেও তো কোন কিছু হবে না। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমি উপস্থিত সবাইকে বললাম, আপনারা আমাকে কিছুক্ষণ সময় দিন। আমি চেষ্টা করে দেখি, কিছু করতে পারি কিনা, বলে সরাসরি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই।

ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গেছে। বাইক চালিয়ে বাড়িতে আসার প্রতিটা মুহূর্তে শুধু এই চিন্তাই করছি, কি করতে পারি আমি, আমি এখন কি করবো। হঠাৎ করে আমার মাথায় আমাদের পার্শ্ববর্তী সরিষাবাড়ী আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী জননেতা ডাক্তার মুরাদ ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। সিদ্ধান্ত নিলাম বিষয়টি আমি সরাসরি মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়কে জানাবো, হয়তো কোনো একটি ফয়সালা হবে। সাথে সাথে আমি বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে মেসেজ করি।

আল্লাহর অশেষ রহমতে মেসেজ দেওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারি জাহিদ নাঈম ভাই আমাকে টেলিফোন করে। জাহিদ নাঈম ভাই আমাকে বলে, তুমি যে মন্ত্রীমহোদয়কে মেসেজ দিয়েছ তা তিনি দেখেছেন এবং তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রী মহোদয় তোমাকে তার পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তার চিকিৎসায় যত টাকা লাগে সব মন্ত্রী মহোদয় বহন করবে।

আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, যে মুহুর্তের মধ্যেই একটি সমাধান পেয়ে যাবো। খুশির সংবাদটি আমি সাথে সাথে ঐ গর্ভবতী মায়ের কাছে পৌঁছে দেই এবং বলি যে, আপনার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব আপনাদের মন্ত্রী ডা. মুরাদ ভাই গ্রহণ করেছেন। আপনারা রেডি হন কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনাকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হবো, আমি আসতেছি।

কিছুক্ষণ পরে আমি তাকে নিয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা হই। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক গর্ভবতী মাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান আজকের মধ্যেই তার সিজার করতে হবে। না হলে বাচ্চা এবং মা দুজনে মৃত্যুঝুকিতে পড়বে। ইতিমধ্যে প্রায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে দ্রুত সিজার করার জন্য একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করি।

ইতিমধ্যে জাহিদ নাইম ভাইয়ের নির্দেশে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী- সজীব তন্ময়সহ অনেকেই সহযোগিতা করার জন্য হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়। এছাড়াও তার রক্ত প্রয়োজন হলে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুহূর্তের মধ্যেই রক্তের ব্যবস্থা করেন। রাত আটটার দিকে তার অপারেশন সম্পন্ন হয় এবং তিনি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিছুক্ষণ পর আমরা বেডে গিয়ে ফুটফুটে মাসুম বাচ্চাটির দেখা পাই। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে, মায়ের কেন এখনো ফিরে নাই। বাচ্চার মুখটি দেখার পর কেন জানি হঠাৎ আমার নিজের প্রতি নিজের অনেক গর্ব বোধ হলো এই মহান কাজটি সমাপ্তি করতে পেরে।

সাথে সাথে আমি খবরটা মন্ত্রীমহোদয়কে জানাই, তিনি খবরটা শুনে বিশেষভাবে খুশি হন এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। এই মহান মানুষটি আর কেউ নন, তিনি আমাদের সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিমন্ত্রী গরিবের ডাক্তার জননেতা জনাব আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি। আমি বিশ্বাস করি তার এই মহান মানবিক কাজটি আজীবন সাধারণ মানুষের কাছে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।

ডা. মুরাদ হাসান শুধু বক্তৃতায় গরীবের ডাক্তার নয়, সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন জনদরদী গরীবের ডাক্তার। আমি একজন এতিম সন্তান হিসেবে ডা. মুরাদ ভাইয়ের জন্য মন খোলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে আরো‌ অনেক বড় করে, সম্মানিত করে।

-খাইরুল ইসলাম অনেস্ট
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ধনবাড়ী উপজেলা শাখা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


একজন মানবিক মন্ত্রীর উদাহরণ ডা. মুরাদ হাসান

Update Time : ০৬:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

২০ নভেম্বর ২০২১ শনিবার ভোর ৭টা। অন্যান্য দিন ঘুম থেকে একটু দেরিতে উঠলেও জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট সংলগ্ন কুমারপাড়ায় পূর্বনির্ধারিত জমি সংক্রান্ত একটি সালিশের জন্য সেদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হয় আমাকে। যথারীতি ফ্রেশ হয়ে সালিশের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

আধঘণ্টার মধ্যে আমি সেখানে পৌঁছে যাই। অনন্য লোকজন সালিশে উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় আমি একটু সময় পাই। হঠাৎ পাশের বাড়ির এক ভদ্রমহিলা আমার কাছে বললেন, “বাবাজি একটা মহিলার বাচ্চা হবে, গত দুইদিন ধরে ব্যথা শুরু হয়েছে। তুমি একটু সাহায্য করো। সিজার করতে হবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করতেছি অনেক টাকা দরকার। গর্ভবতী মহিলার স্বামীর টাও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে হয় পড়ে আছে। এক বৎসরের আরেকটি ছোট বাচ্চাও আছে।”

কথাগুলো শোনার পর আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরাসরি ওই গর্ভবতী মায়ের বাড়িতে উপস্থিত হই, সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম খুব সম্ভবত ১৯ থেকে ২০ বছর হবে স্বাস্থ্যহীন হাড্ডিসার একটি মহিলা প্রচন্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছে। একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম তিনি সেই গর্ভবতী মা, প্রসব যন্ত্রণা কাতরাচ্ছেন। চেহারাটা বেশ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। গর্ভে সন্তান হলে যে যত্নের প্রয়োজন তার বিন্দুমাত্র লেশ নেই। নরম সুরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কেমন আছেন, “উত্তরে তিনি জানালেন ভালো নেই। গত দু’দিন ধরে প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে আমার। পানিও ভাংতেছে। নির্দ্বিধায় একটু ভরসার আশায় আমাকে সব শোনালেন। আমি মনোযোগ দিয়ে সব শুনলাম। তিনি যে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর সেটিও ভালোভাবে অনুধাবন করলাম।

স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে এসেছে অনেকদিন হলো, বাবাটা দিনমজুর, দিন আনে দিন খায়। স্বামী জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকদিন হলো। কোনরকম খেয়ে পড়ে দিন পার হচ্ছে চরম কষ্ট দুর্দশায়। বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করে আমিও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি প্রায়। ভাবতেছি কি করা যায় কি করব। কাছে যত টাকা আছে এগুলো দিলেও তো কোন কিছু হবে না। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমি উপস্থিত সবাইকে বললাম, আপনারা আমাকে কিছুক্ষণ সময় দিন। আমি চেষ্টা করে দেখি, কিছু করতে পারি কিনা, বলে সরাসরি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই।

ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গেছে। বাইক চালিয়ে বাড়িতে আসার প্রতিটা মুহূর্তে শুধু এই চিন্তাই করছি, কি করতে পারি আমি, আমি এখন কি করবো। হঠাৎ করে আমার মাথায় আমাদের পার্শ্ববর্তী সরিষাবাড়ী আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী জননেতা ডাক্তার মুরাদ ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। সিদ্ধান্ত নিলাম বিষয়টি আমি সরাসরি মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়কে জানাবো, হয়তো কোনো একটি ফয়সালা হবে। সাথে সাথে আমি বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে মেসেজ করি।

আল্লাহর অশেষ রহমতে মেসেজ দেওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারি জাহিদ নাঈম ভাই আমাকে টেলিফোন করে। জাহিদ নাঈম ভাই আমাকে বলে, তুমি যে মন্ত্রীমহোদয়কে মেসেজ দিয়েছ তা তিনি দেখেছেন এবং তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রী মহোদয় তোমাকে তার পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তার চিকিৎসায় যত টাকা লাগে সব মন্ত্রী মহোদয় বহন করবে।

আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, যে মুহুর্তের মধ্যেই একটি সমাধান পেয়ে যাবো। খুশির সংবাদটি আমি সাথে সাথে ঐ গর্ভবতী মায়ের কাছে পৌঁছে দেই এবং বলি যে, আপনার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব আপনাদের মন্ত্রী ডা. মুরাদ ভাই গ্রহণ করেছেন। আপনারা রেডি হন কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনাকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হবো, আমি আসতেছি।

কিছুক্ষণ পরে আমি তাকে নিয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা হই। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক গর্ভবতী মাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান আজকের মধ্যেই তার সিজার করতে হবে। না হলে বাচ্চা এবং মা দুজনে মৃত্যুঝুকিতে পড়বে। ইতিমধ্যে প্রায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে দ্রুত সিজার করার জন্য একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করি।

ইতিমধ্যে জাহিদ নাইম ভাইয়ের নির্দেশে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী- সজীব তন্ময়সহ অনেকেই সহযোগিতা করার জন্য হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়। এছাড়াও তার রক্ত প্রয়োজন হলে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুহূর্তের মধ্যেই রক্তের ব্যবস্থা করেন। রাত আটটার দিকে তার অপারেশন সম্পন্ন হয় এবং তিনি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিছুক্ষণ পর আমরা বেডে গিয়ে ফুটফুটে মাসুম বাচ্চাটির দেখা পাই। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে, মায়ের কেন এখনো ফিরে নাই। বাচ্চার মুখটি দেখার পর কেন জানি হঠাৎ আমার নিজের প্রতি নিজের অনেক গর্ব বোধ হলো এই মহান কাজটি সমাপ্তি করতে পেরে।

সাথে সাথে আমি খবরটা মন্ত্রীমহোদয়কে জানাই, তিনি খবরটা শুনে বিশেষভাবে খুশি হন এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। এই মহান মানুষটি আর কেউ নন, তিনি আমাদের সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিমন্ত্রী গরিবের ডাক্তার জননেতা জনাব আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি। আমি বিশ্বাস করি তার এই মহান মানবিক কাজটি আজীবন সাধারণ মানুষের কাছে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।

ডা. মুরাদ হাসান শুধু বক্তৃতায় গরীবের ডাক্তার নয়, সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন জনদরদী গরীবের ডাক্তার। আমি একজন এতিম সন্তান হিসেবে ডা. মুরাদ ভাইয়ের জন্য মন খোলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে আরো‌ অনেক বড় করে, সম্মানিত করে।

-খাইরুল ইসলাম অনেস্ট
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ধনবাড়ী উপজেলা শাখা।