আবাসিক হোটেল থেকে পাওয়া গেল নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ

  • Update Time : ০৭:৪৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • / 146

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর নাম আদনান সাকিব রাব্বি (২৫)। ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক এ শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে (২০১৪-১৫ সেশন) অধ্যয়নরত ছিলেন।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা বলেন, আদনান সাকিব বিবাহিত ছিলেন। গতকাল আদনানের খোঁজ না পেয়ে তাঁর স্ত্রী নুসরাত আফরিন শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন । পরে আদনানের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে সেগুনবাগিচার কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলে তাঁর অবস্থান পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন খাতায় তাঁর নাম দেখা যায়।

পরে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় আদনান সাকিবের ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই পলাশ সাহা জানান, হোটেলকক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক খবরটি আমরা গতকাল (বুধবার) রাতে পেয়েছি। আদনান সাকিবকে আগের দিন থেকে হলে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে থানায় অভিযোগ করা হলে মুঠোফোন নম্বর ট্র্যাক করে তাঁর অবস্থান ট্র্যাক করে পুলিশ।’

আদনান সাকিবের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সোনাখুলিতে। তাঁর বাবার নাম আবদুল মালেক। আদনান সাকিব তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আবাসিক হোটেল থেকে পাওয়া গেল নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ

Update Time : ০৭:৪৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর নাম আদনান সাকিব রাব্বি (২৫)। ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক এ শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে (২০১৪-১৫ সেশন) অধ্যয়নরত ছিলেন।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা বলেন, আদনান সাকিব বিবাহিত ছিলেন। গতকাল আদনানের খোঁজ না পেয়ে তাঁর স্ত্রী নুসরাত আফরিন শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন । পরে আদনানের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে সেগুনবাগিচার কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলে তাঁর অবস্থান পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন খাতায় তাঁর নাম দেখা যায়।

পরে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় আদনান সাকিবের ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই পলাশ সাহা জানান, হোটেলকক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক খবরটি আমরা গতকাল (বুধবার) রাতে পেয়েছি। আদনান সাকিবকে আগের দিন থেকে হলে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে থানায় অভিযোগ করা হলে মুঠোফোন নম্বর ট্র্যাক করে তাঁর অবস্থান ট্র্যাক করে পুলিশ।’

আদনান সাকিবের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সোনাখুলিতে। তাঁর বাবার নাম আবদুল মালেক। আদনান সাকিব তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন।